নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বর্তমান সমাজে ভাইরাসের মতো ছড়াচ্ছে পারিবারিক অশান্তি। বর্তমান যুগে প্রায় প্রত্যেক দিনই খবরের শিরোনাম কিংবা খবরের কাগজে চোখ ফেরালেই নজরে আসবে পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামী-স্ত্রী বা বাড়ির অন্য কোনো সদস্যের প্রাণনাশ কিংবা আত্মহত্যার মতো ঘটনা। আমাদের আধুনিক এই সমাজে আধুনিকতাকে আমরা আপন করেছি ঠিকই কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই আধুনিক বা ইউরোপীয় সংস্কৃতিকে নিজেদের জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে নিজেরাই ডেকে আনছি পারিবারিক বিবাদ। আর তার জেরে পরিস্থিতি হয়ে উঠছে ভয়াবহ। যার আরো এক দৃষ্টান্ত এবার দেখা গেল বাঁকুড়া জেলায়। এবার পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। ঘটনা বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার রতনপুর অঞ্চলের ঘোলকুন্ডা গ্রামের। জানা গেছে পেশায় কৃষিমজুর দিলীপ মাল ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী মাল তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি পারিবারিক কোনও কারণ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল বলে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী সবামী-স্ত্রীর মধ্যে সেই বিবাদ নিয়েই ফের বচসা শুরু হলে দিলীপ মাল নামে ওই ব্যক্তি বাড়িতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় ও পেটে একের পর এক কোপ মারতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মী দেবীর। এরপর ওই ব্যক্তি স্থানীয় পেত্যাকানার জঙ্গলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গোটা ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা। সামান্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ এহেন নৃশংস ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হতে পারে তা আঁচ করতে পারেননি তারাও। বাবা-মায়ের মৃত্যুর জেরে অনাথ হয়ে পড়ল তিন নিস্পাপ শিশু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলি ম্যনাতদন্তের জন্য পাঠায়। অন্যদিকে, রেল লাইনের ধারে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার কুলুপুকুর গ্রামে। মৃতের নাম ধ্রুবজ্যোতি গোনাই(২৪) বাড়ি আসামের উদয়পুরে। বৃহস্পতিবার কুলুপুকুর গ্রামে রেল লাইনের ধারে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এবং বাঁকুড়া ষ্টেশনের জিআরপি কর্মীরা। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।