eaibanglai
Homeদক্ষিণ বাংলাপৃথক দুই জেলার পৃথক দুই দাবীতে জেরবার জনজীবন

পৃথক দুই জেলার পৃথক দুই দাবীতে জেরবার জনজীবন

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ তীব্র দাবদাহে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। স্বভাবতই পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, আসানসোল, বর্ধমান, পুরলিয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৪০ এর ওপরে উঠে গেছে তাপমাত্রার পারদ। আগামী দুদিনে পরিস্থিতির কোনোরকম পরিবর্তন হবে না বলেই আগেভাগে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্কুলেই পড়ুয়াদের কথা ভেবে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারী স্কুলগুলিতে দীর্ঘ দুমাসের গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আর এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুর্গাপুরের এম.এ.এম.সি টাউনশীপ মডার্ন হাইস্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালো ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এই দিন সকালেই ওই স্কুলের সমস্ত অভিভাবকরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন। তাদের অভিযোগ, ভোটের শুরু থেকেই বিভিন্ন স্কুলে ছুটির পর ছুটি চলছে এবার তার সঙ্গে যুক্ত গরমের দুমাসের ছুটি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বীকৃত এই স্কুলকে সরকারী গাইড লাইন মেনেই চলতে হবে। এর উত্তরে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানিয়েছে, গরমের ছুটির সময় সরকারী গাইড লাইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে দুর্গাপুরের এমএএমসি স্কুল কর্তৃপক্ষ অথচ এই স্কুলই আবার পড়ুয়াদের ভর্তির সময় সরকারী গাইড লাইনের বাইরে গিয়ে পড়ুয়াদের ভর্তির নামে বেশি টাকা আদায় করে অভিভাবকদের কাছ থেকে, তখন তাদের সরকারী কোনও গাইড লাইন থাকে না? এর প্রতিবাদে শুক্রবার সমস্ত অভিভাবকরা একজোট হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে। একদিকে যখন দীর্ঘ দুমাস গরমের ছুটি দেওয়ার বিরোধীতায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হলেন অভিভাবকরা তখন এই তীব্র গরমে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তায় নামলেন বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের মন্ডলগ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষনপুরের আদিবাসী মহিলারা। শুক্রবার সকাল থেকে তারা সিমলাপাল ভূতশহর রোডের উপর লক্ষনপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে পানীয় জল ও নতুন রাস্তার দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হন। তাদের অভিযোগ দীর্ঘ তিন মাস পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিডিওকে এইবিষয়ে বার বার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকার মহিলাদের বক্তব্য, সামান্য পানীয় জলের জন্য প্রত্যেক দিন পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে নদী থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। গ্রামের সমস্ত নলকূপগুলি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়লেও সেদিকে কারোর কোনও নজর নেই, ফলে এই ভয়াবহ গরমে সামান্য একটু পানীয় জলের জন্য পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। বিডিও সহ বিভিন্ন দফতরে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই শুক্রবার তারা পানীয় জল ও রাস্তার দাবীতে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। যদিও গ্রামবাসীদের এই দাবী মানতে নারাজ ন্ডলগ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান দেবাশিষ রাম। তিনি জানান, লক্ষনপুরের আদিবাসি গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার কোনও দরখাস্ত পঞ্চায়েত দফতরে জমা পড়েনি। তাসত্বেও পানীয় জলের অসুবিধার কথা জানার পর স্থানীয় বিডিওর সঙ্গে কথা বলে জলের গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments