নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ তীব্র দাবদাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ। বৈশাখের প্রবল দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্ধমুখী। ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রার পারদ। আগামী দুদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রার পারদের সঙ্গে মানুষের অস্বস্তি বাড়িয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং আর্দ্রতা। রবিবারের পর থেকে রাজ্যে কালবৈশাখীর জেরে কমবেশি বৃষ্টিপাত হলেও অস্বস্তি কমার কোনও আশা নেই। এরকম পরিস্থিতিতে কবে এই তীব্র দহন থেকে মুক্তি পেতে পারে রাজ্যবাসী? জানা গেছে, মে মাসেই ফের বঙ্গোপসাগরে তৈরী হতে চলেছে আরও এক অতি শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়। আবহাওয়া দপ্তরের বয়ান অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে ফের অতি শক্তিশালী ঘূর্নিঝড় তৈরীর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা সম্ভবত মে মাসের শেষদিকে ঘূর্নিঝড়ের রূপ নিতে পারে। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই অতি শক্তিশালী ঘূর্নিঝড় ফনীর তান্ডবলীলা প্রত্যক্ষ করেছে গোটা বিশ্ব। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ফনী পুরী উপকূলে আঘাত হানার সময়কার এক একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট হওয়ার পর থেকেই সেই ভিডিও দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠেছে মানুষ। কোথাও আস্ত স্কুল বাস উড়েছে খেলনা গাড়ির মতো আবার কোথাও বিশালাকায় ক্রেন খড়ের টুকরোর মতো ভেঙে পড়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো আগে থেকে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়ায় ফনী আছড়ে পড়ার আগেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সমস্ত লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাসত্ত্বেও ফনীর জেরে ওড়িশায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফনী আছড়ে পড়ার পর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও ফনীর ক্ষত এখনও ওড়িশা জুড়ে বিদ্যমান। এখনও বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এরই মধ্যে ফের “বায়ু” নামক ঘূর্নিঝড়ের বার্তা যেমন উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তেমনি “বায়ু”র জেরে বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে দক্ষিণবঙ্গ। “ফনী” ঘূর্নিঝড়ের নামকরন করেছিল বাংলাদেশ, এবার পালা ছিল ভারতের, তাই সেই অনুযায়ী ভারতের তরফেই আসন্ন ঘূর্নিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে “বায়ু”। তবে এখনই ওই ঘূর্নিঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে বা তার গতিপথ কীরকম হবে সেবিষয়ে এখনই কিছু জানায় নি আবহাওয়া দফতর।