নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ দুই নাবালিকা উদ্ধার হল তামিলনাড়ু থেকে। ওই দুই নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গত ৩১মে সোনামুখী শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নীলবাড়ি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্যপীরতলা এলাকা থেকে দুই নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে সোনামুখী থানায়। একসঙ্গে দুই নাবালিকার আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়তেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে সোনামুখী থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই নিখোঁজ দুই নাবালিকার মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা করে। তখনই পুলিশ জানতে পারে ওই দুই নাবালিকাকে তামিলনাড়ুর নামাক্কাল জেলার পাল্লিলায়ামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেইমতো সোনামুখী থানার পুলিশের একটি দল তামিলনাড়ুতে পৌছায়। সেখানে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তামিলনাড়ুর পাল্লিলায়াম থেকে ওই দুই অপহৃত নাবালিকাসহ অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত ওই যুবকেরও বাড়ি সোনামুখীরই রামপুর এলাকায়। কিন্তু কি কারণে সোনামুখী থেকে ওই নাবালিকাকে তামিলনাড়ু নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ঘটনার আসল কারণ জানার চেষ্টা করছে। একদিকে যখন দুই নাবালিকা অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় তখন পুরুলিয়ার আদ্রায় ফের পনের দাবিতে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মৌ মিশ্র। জানা গেছে, আদ্রা থানার চাকলতা গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জীর সঙ্গে মৌ-র বিয়ে হয়েছিল প্রায় ২ বছর আগে। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ৮ মাসে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েকদিনে অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। শ্বাশুরি নমিতা চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে মৌ-কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মৃতার মা। কিন্তু মেয়েকে এভাবে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে দেবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বলে মেয়ে হারানোর শোকের মধ্যেই জানালেন তিনি। ঘটনার পর থেকে পলাতক জামাই মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জী। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্বশুর অশোক চ্যাটার্জী ও শাশুড়ি নমিতা চ্যাটার্জীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় ম্যাজিসট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।