নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ রাজ্যে গাঁজা ব্যবসা নতুন নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেই প্রায় বিভিন্ন সময় গাঁজা, চরস কিংবা পোস্ত চাষের মতো বেআইনি মাদক দ্রব্যের কারবারের ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু মূলত বেশিরভাগ সময়েই মূলত টাকা এবং যোগাযোগের জেরে ছাড়ে পেয়ে যায় এইসমস্ত মাদক দ্রব্যের প্রধান কারবারি অর্থাৎ রাঘব বোয়ালরা। আর আচমকা অভিযানে আবগারি দফতরের হাতে ধরা পড়ে চুনোপুটিরা। ঠিক যেমন বৃহস্পতিবারের বাঁকুড়ার কেশিয়াড়া গ্রামের ঘটনা। আবগারি দফতর সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি চিত্তরঞ্জন বাদ্যকর নাকি বেআইনীভাবে নিজের বাড়িতেই দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা চাষ করছিলেন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে বেশকয়েকটি গাঁজা গাছ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আবগারি দফতর। আর এই গাঁজা উদ্ধারের পরেই ফলাও করে আবগারি দফতরের তরফে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই অভিযানের পর গাঁজা উদ্ধারের সাফল্যে নিজেরাই নিজেদের বাহবা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবার ঘটনা হচ্ছে, আবগারি দফতরের এই ধরণের অভিযান এই প্রথম নয়, এর আগেও বাঁকুড়া, পানাগড় সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার হানা দিয়েছেন তারা। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন হচ্ছে, এহেন বেআইনি ব্যবসা ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ির বাগানে কেন করতে যাবেন? এলাকাবাসীদের কথা থেকে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন গাঁজার নেশায় আসক্ত। হয়তো দীর্ঘদিন গাঁজার বীজ বাড়ির বাইরে বাগানে ফেলতে ফেলতে নিজের অজান্তেই সেখানে গাঁজার চাষ করে ফেলেছিলেন! আর এই গাঁজা উদ্ধারকেই নিজেদের বড়সড় সাফল্য বলে পিঠ চাপড়াচ্ছে আবগারি দফতর। তবে এখানে প্রশ্ন উঠছে, বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতরের অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পান গুমটি থেকে নিয়মিত বিক্রি হয় গাঁজা। কিন্তু, যেহেতু ওই গাঁজা দোকান থেকে নিয়মিত আবগারি দফতরের আধিকারিকদের কাছে মোটা টাকা মাসোহারা পৌঁছায় সেহেতু ওই গাঁজা ঠেকে আবগারি দফতরের আচমকা অভিযান হয়না। ঠিক সেরকমভাবেই রাজ্য জুড়ে বড় বড় যেসমস্ত রাঘব-বোয়াল দিনের পর দিন ধরে মাদকদ্রব্যের রমরমা ব্যবসা করে চলেছে তাদের টিকিও পাওয়া যায় না। তাই স্বাভাবিকভাবেই আবগারির দফতরে নজরে পড়ে চিত্তরঞ্জন বাদ্যকরের মতো গাঁজার নেশায় আসক্ত ব্যক্তিরাই, আর খুলে আম রাজ্য জুড়ে মাদকদ্রব্যের কারবার চালিয়ে যায় রাঘব বোয়ালেরা।