জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া :দিন কয়েক আগে বালি চুরি রুখতে গিয়ে বালি মাফিয়াদের হাতে মার খেয়ে জখম হন এক পুলিশ কর্মীসহ তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ,ঘটনাটি ঘটেছিল পুরুলিয়ার মফস্বল থানা এলাকার ভুল গ্রামে |আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল পুরুলিয়ার ঝালদা থানা এলাকার ইচাগ গ্রামে ,তবে এবার কিন্তু বালি চুরি রুখা নয় ,জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে গিয়ে |বিশেষ সূত্রে জানা যায় বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝালদা থানায় কর্মরত এক পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের কর্মী সহ তিন জন সিভিক ভলেন্টিয়ার রেড করতে যান ইচাগ গ্রামের কচা কুলি পাড়ার জুয়ার ঠেক |সেই সময় জুয়াড়ীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশ কর্মী তপন দাসের ,পরে সেই ঘটনা চরম আকার ধারণ করে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে ও হাতাহাতি হয় বলে জানা যায় ,যার জেরে মাথা ফাটলো এবং শরীরের একাধিক জায়গায় মারের আঘাত লাগলো পুলিশকর্মী তপন দাসের |পরে ঝালদা পুলিশ এসে তপন দাস কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় ,পরে উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য তাকে পুরুলিয়া সদরে পাঠানো হয় |অতীতে ওই পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে বারবার বিতর্ক সামনে এসেছে |এমনকি সংবাদ মাধ্যমের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ,যেমন বেশ কিছুদিন পূর্বে ওই আক্রান্ত পুলিশ কর্মী বি ডি ও ঝালদা 1 নাম্বর ব্লকের নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন ,সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মীর সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে |সংবাদ মাধ্যমের ওই কর্মী ঘটনাটি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত আকারে জানালে,পরের দিন সকালে তপন দাস কে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয় তার পর থেকে |পরবর্তীকালে অবশ্য তাকে আবারো ঝালদা এলাকায় নিয়ে আসা হয় |সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকাটা কি ?বিষয়টি নিয়ে ঝালদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন্ত কবিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ,তপন একা নন আমাদের পুলিশের একটা দল জুয়ার ঠেক বন্ধ করার অভিযানে যান ,সেই সময় তপন পিছনে একা পড়ে যান ,আর সেই একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশ কর্মী তপন কে |তিনি আরো জানান ওই ঘটনায় জড়িত 4 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা হলেন ঝালদার জার্গো গ্রামের নরোত্তম মাহাতো ও সোনারাম মাহাতো ,আনন্দবাজারের অভিজিৎ বৈষ্ণব ,ইচাগ গ্রামের কৃষ্ণাপদ মাহত ,বাকি ঘটনার তদন্ত চলছে |