eaibanglai
Homeএই বাংলায়তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাষরোধ করে খুন, উদ্ধার শিশুর মুন্ডুহীন দেহ

তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাষরোধ করে খুন, উদ্ধার শিশুর মুন্ডুহীন দেহ

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ফোনে আলাপ, সেই থেকে প্রেম। আর সেই প্রেমের টানেই তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদার বিধবা মহিলা রাকিমা খাতুন। কিন্তু সেই যাত্রাই যে তার জীবনে এহেন পরিণতি ডেকে আনবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনিও। প্রেমিক মোহাম্মদ শেখ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ, সেই থেকে প্রেম। গত ২৫শে জুলাই মেয়েকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গেই ট্রেনে চেপেছিলেন রাকিমা খাতুন। এরপর জামশেদপুর স্টেশনে তারা নামেন অন্য ট্রেনের অপেক্ষায়। দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার ধকল আর ক্লান্তি কাটাতে স্টেশনেই কিছুক্ষন জিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই তিনি খেয়াল করেন তার ছোট্ট মেয়ে এবং প্রেমিক কাউকেই দেখতে না পাওয়ায় ষ্টেশনে তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষন বাদে মোহম্মদ শেখের হদিশ মিললেও মেয়ের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় প্রেমিক মোহাম্মদ শেখের ওপর সন্দেহ হয় ওই মহিলার। বিষয়টি তিনি রেল পুলিশকে জানালে পুলিশ মোহম্মদ শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করতেই জানা যায় তার আসল নাম মনু মণ্ডল। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সে শিশু চুরির কথা অস্বীকার করে। ইতিমধ্যেই টাটানগর রেলওয়ে পুলিশ টেলকোর ইয়ামকো রামদিন বাগান সংলগ্ন প্রাচীরের পাশের ঝোপ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে তিন বছরের এক শিশু কন্যার মুণ্ডুহীন মৃতদেহ। শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর পুলিশের তরফে রাকিমা খাতুন নামে ওই মহিলাকে শিশুটির দেহ শনাক্ত করাতে গেলে নিজেরে সন্তানের এহেন অবস্থা থেকে জ্ঞান হারান তিনি। পুলিশি কুকুর লাগিয়ে ওই শিশুটির মাথার অংশ খোঁজার চেষ্টা করলেও পুলিশ ব্যর্থ হয়। অভিযুক্ত মনু মণ্ডলকে জেরা করে পুলিশ রিঙ্কু সাহু ও কৈলাস কুমার নামে দুই শিশু চোরের খোঁজ পায়। জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করে ওই দুজনের কাছেই শিশুটিকে তুলে দিয়েছিল সে। এরপর পুলিশ ধৃত দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ঘটনার ভয়াবহ সত্যতা সামনে আসে। ধৃতদের বয়ান থেকে জানা গেছে তিন বছরের ওই শিশুটিকে তারা অপহরণ ও ধর্ষণ করে। এরপর তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। জানা গেছে এর আগেও এই দুই যুবক ভীড়বহুল এলাকা থেকে বা অন্যদের মাধ্যমে শিশু অপহরণের ঘটনায় যুক্ত ছিল। পুলিশি জেরায় তারা সেই কথা স্বীকারও করেছে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে ধৃত দুজনেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। রিঙ্কুর মা গিরিডি সদর দফতরে পুলিশকর্মী এবং কৈলাশের বাবা সিআরপিএফ জওয়ান। এহেন দুই পরিবারের দুই ছেলেই এহেন নৃশংসতায় শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। পুলিশ দুজনকেই আদালতে পেশ করেছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments