নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বর্ষার মরসুম মানেই আতঙ্কের প্রহর গোনা শুরু নদী তীরবর্তী এলাকাগুলির। ব্যাতিক্রম নয় নদী বেষ্টিত সুন্দরবনেরও। আপাতত একরাশ আতঙ্ক নিয়েই মাথায় নিয়ে দিন কাটছে তাদের। এমনিই ছবি সুন্দরবনের ঝড়খালী, গোসাবা, সজনেখালী সহ বাসন্তী সহ বিভিন্ন এলাকার। কারণ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত নদীমাতৃক এলাকার নদী বাঁধগুলির বেহাল দশা। নদীর আশপাশের গ্রামগুলির মানুষের মনের মধ্যে আজও আয়লার আতঙ্ক সম্পূর্ণ মুছে যায়নি। তাই তাদের মধ্যে সবসময় একটা আতঙ্ক লেগে থাকে যে এই হয়তো ফের নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হবে তাদের সর্বস্ব। সুন্দরবনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর বাঁধগুলির হাল বেহাল, এমনকি আয়লা পরবর্তী নদী বাঁধেও ইতিমধ্যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, ফলে যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় অঘটন। অভিযোগ প্রশাসনের কোনো দৃষ্টি নেয়, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না, এমনিই দাবী সুন্দরবনবাসীর। তাই আপাতত আতঙ্কের বোঝা নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। ভরা কোটাল এর সময় রাতে ঘুম উড়িয়ে জেগে বসে থাকতে হয়। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে জীবন রক্ষায় নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন সুন্দরবন এলাকার প্রমিলা বাহিনী। নদী বাঁধকে বাঁচাতে হাতে হাত লাগিয়েছেন তারা। বাঁধের ভাঙ্গন রোধে নদীর চড়ে লাগানো শুরু করেছেন নদীমাতৃক গাছ। তাদের কথায়, এই গাছগুলিই বড়ো হয়ে নদী বাঁধকে মায়ের মতো আঁগলে রাখবে।