নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ অবশেষে ঘটনার কিনারা। গত বেশ কয়েকমাস ধরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে রাতের অন্ধকারে বাইক ও চার চাকা গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম গৌরাঙ্গ কর ও তারক কর্মকার। দুজনেই দুর্গাপুরের বাসিন্দা। তবে সবথেকে অবাক করার বিষয় হল ঘটনায় জড়িত এই দুজনই আরজি পার্টিতে কাজ করত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত চালিয়েই এই দুজনের নাম পায় পুলিশ। সেইমতো তাদের গ্রেফতার করে। অভিষেক গুপ্তা, ডিসি (পুর্ব) জানিয়েছেন, ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে পেশ করে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও কী উদ্দেশ্যে দিনের পর দিন একের পর বাইক ও চারচাকা তারা জ্বালিয়ে দিচ্ছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকমাস ধরেই দুর্গাপুরের স্টীল টাউনশিপের বিভিন্ন এলাকায় এবং বিধাননগরে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসছিল। কোথাও গ্যারেজে রাখা গাড়ি আবার কোথাও বাড়ির বাইরে রাখা গাড়িতে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিচ্ছিল। বারবার একই ঘটনায় পুলিশের ওপরেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শিল্পাঞ্চলের মানুষজন। ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকায় তদন্তে গতি আনতেই সাফল্য মেলে। কিন্তু সেই সাফল্যের থেকেই এই গ্রেফতারি উল্টে অস্বস্তি বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। কারণ, মঙ্গলবার পুলিশের তরফে ওই ধৃত দুই যুবকের নামের সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয় তারা দুজনই আরজি পার্টিতে কাজ করত। ফলে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ প্রশাসনে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়েও। কারণ পুলিশকর্মীদের মধ্যেই যদিও এইধরনের দুষ্কৃতিকারীরা আশ্রয় পেয়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষ কাদের ওপর ভরসা করবে? তাহলে কি এই সমস্ত আরজি পার্টি বা সিভিক পুলিশদের নিয়োগের সময় এইসমস্ত চাকুরীপ্রার্থীদের কোনোরকম যাচাই না করেই নিয়োগ করা হচ্ছে? এই ঘটনা তো সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে? আর তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে শিল্পশহরে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।