সোমনাথ মুখার্জী,অন্ডালঃ পাড়ার শেষে লাগানো হয়েছে নিকাশি নালা নির্মাণের সরকারি বোর্ড। তাতে লেখা রয়েছে নিকাশি নালা নির্মাণের তথ্য। মোট খরচ, শ্রমদিবস নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সমস্ত তারিখ। কিন্তু আদৌ ওই এলাকায় কোনও নিকাশি নালা নির্মাণের হয়নি বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। অন্ডালের উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জামাই পাড়া এলাকা। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে এই পাড়ায় উন্নয়নমূলক কোনও কাজই হয়নি রাস্তা কাঁচা, পাকা নর্দমা নেই। বর্ষায় কাঁচা রাস্তা আগাছায় ভরে গেছে। ফলে দিনের পর দিন সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। ফলে একপ্রকার জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। পাকা নর্দমা না থাকায় সারা বছরই জল জমে থাকে রাস্তার পাশে। বেড়েছে মশার উপদ্রব। স্থানীয় পঞ্চায়েতে বার বার জানিয়েও এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু পাড়ার শেষ প্রান্তে নর্দমা নির্মাণের তথ্য সম্বলিত একটি সরকারি বোর্ড বসানোর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে এলাকাবাসী। বোর্ডে লেখা রয়েছে স্থানীয় ফুটবল মাঠ থেকে আই সি ডি এস স্কুল পর্যন্ত পাকা নর্দমা নির্মানের তথ্য। লেখা রয়েছে নর্দমা নির্মাণের জন্য ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩ টাকা। কাজ শুরুর তারিখ ২৬ জুন, ২০১৯। মঙ্গলবার সকালে পাড়ার বাসিন্দারা সরকারি এই বোর্ড দেখেই হতবাক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এই পাড়াতে কোন পাকা নর্দমা তৈরি হয়নি অথচ রাতারাতি সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হল। নর্দ্মা নির্মাণ না করেই কেন বোর্ড লাগানো হল এই নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা, তেমনই গোটা ঘটনাটি তদন্ত করার দাবিতেও সরব হয়েছেন তারা। পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কথাতেও সংশয় তৈরি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে । উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা ঘোষ বলেন ঘটনাটি আমার জানা নেই। কারা বোর্ড লাগিয়েছে, কাজ হয়েছে কি হয়নি তদন্ত করে দেখব বলে সাফাই দিলেন তিনি। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি । পঞ্চায়েত সদস্য প্রিয়াঙ্কা হাজরা পাল জানান নর্দমা নির্মাণের একটি প্রস্তাব পঞ্চায়েতে জমা করা হয়েছে কিছু দিন আগে। কিন্তু সেখানে নর্দমা নির্মাণ হয়েছে কি না জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখব।