নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ দুর্গাপুরের কমলপুরে ওয়াসিম প্লটে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু এবং ৫০ জনেরও বেশি মানুষের অসুস্থতার ঘটনা। সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারি। জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই দুর্গাপুরের কমলপুরে ডায়েরিয়ার প্রকোপ ক্রমেই ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতুও হয়েছে দুজনের। এখনো ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন বহু। এরকম পরিস্থিতিতে খবর পেয়েই রবিবার কমলপুরে ডায়েরিয়া আক্রান্তদের কাছে পৌঁছান আসানসোলের মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরেও টনক নড়েনি দুর্গাপুর পুরসভা তথা মেয়র দিলীপ অগস্তির। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা এলাকায় পানীয় জল বা মেডিক্যাল ক্যাম্প পর্যন্ত বসানো হয়নি। ক্ষুব্ধ জেলা সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারি সঙ্গে সঙ্গে মেয়রকে ফোন করলে অপরপ্রান্ত থেকে ভারিক্কি গলায় উত্তর দেন মেয়র দিলীপ অগস্তি। এরপরেই ফোনেই মেয়রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুরু করেন জীতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে দ্রুত ওই এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প বসানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি। অন্যদিকে জেলা সভাপতির ফোন নং বুঝতে না পেরে মেয়র দিলীপ অগস্তির ভাষায়, অন্য নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন তাই চিনতে পারেননি। তাহলে সহজেই অনুমেয় যে রাজ্যের তৃণমূল জেলা সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারির ফোন পেয়ে মেয়রের যদি এহেন আচরণ থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের অসুবিধা বা সমস্যার কথা পুরসভা বা মেয়রের কাছে বলতে গেলে ঠিক কী ধরণের ব্যবহার পাওয়া যেতে পারে। যদিও দিলীপ অগস্তির এহেন সাফাইয়ের পর ফোনেই উত্তেজিত গলায় তাঁকে ধমক দেন জীতেন্দ্র তিওয়ারি। জেলা সভাপতির কাছে মেয়রের এই ধরনের অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ তাদের “বস্তিবাসী” বলে অপমান করা হয়। যদিও রবিবার জীতেন্দ্র তিওয়ারির কড়া দাওয়ের পরেই রোগগ্রস্ত দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যদফতরের মেয়র পারিষদ রাখি তিওয়ারি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে মেডিক্যাল ক্যাম্পের পাশাপাশি পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন তিনি।