সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া : বাঁকুড়া সতীঘাট সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর উপর অস্থায়ী রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল বাঁকুড়া পৌরসভা। বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ হল গন্ধেশ্বরী। এবছর বর্ষায় গন্ধেশ্বরী নদীর উপর গড়ে ওঠা অস্থায়ী কাঁচা রাস্তাটি ভেঙে পড়ায় চরম অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। যদিও গন্ধেশ্বরী ব্রিজের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর থাকা অন্য সেতুটি। ফলে সেতুটির উপর আগের তুলনায় যানবাহন চলাচলের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ভেঙে পড়া গন্ধেশ্বরী নদীর ব্রিজের কাজ বেশ কিছুদিন যাবত চলছে স্বভাবতই একমুখী হয়ে পড়েছে যানবাহন পরিষেবা। ফলে যানজটের ফাসে দীর্ঘক্ষন আটকে পড়ে চরম অস্বস্তি নাজেহাল বাঁকুড়াবাসী। বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী নদীর ওপারে থাকা বিকনা, কেশিয়াকোল এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অস্থায়ী নির্মাণ কাঁচা রাস্তা টির মধ্যভাগ ভেঙে পড়ায় তাদের বাঁকুড়া শহরে আসতে চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। এদিন বাঁকুড়া সতীঘাট এর গন্ধেশ্বরী নদীর উপর অস্থায়ী ভেঙে পড়া বিকল্প রাস্তার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করলেন বাঁকুড়া পৌরসভার উপপ্রধান দিলীপ আগারওয়াল। কথা বলেন স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে। পুরাতন গন্ধেশ্বরী ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন করে গন্ধেশ্বরী ব্রিজ তৈরি করার কাজ চলছে। এই ব্রিজ তৈরির জন্য ১৮ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তরফে। গন্ধেশ্বরী নদীর উল্টো দিক থেকে আসা পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত সেই কারণেই বিকল্প হিসাবে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর দিয়েই একটি কাঁচা রাস্তা অস্থায়ীভাবে তৈরি করেছিল বাঁকুড়া পৌরসভা। এই বিকল্প রাস্তায় শুধুমাত্র দু চাকার যানবাহন ও নিত্য যাত্রীরা চলাচল করত। বাঁকুড়া পৌরসভা তরফে তৈরি করা অস্থায়ী রাস্তাটি ভেঙে পড়ায় এখন চরম বিপাকে নদীর ওই পারে থাকা বাসিন্দারা। কবে এই সমস্যার সমাধান মিলবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী।