নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ “গাছের অপর নাম জীবন”, “গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান”- বর্তমান বিশ্বে এই শ্লোগান মনুষ্য জাতির কাছে অতি পরিচিত হলেও এই শ্লোগানের মর্ম উপলব্ধিকারী মানুষের সংখ্যা আজও বিশ্বে খুবই নগণ্য। আর মূলত সেই কারণেই আজও আধুনিকতা, নিজ স্বার্থাসিদ্ধি, গাছের চোরা কারবার সহ বিবিধ কারণে প্রত্যেক দিন বিশ্বে কয়েক লক্ষ গাছ কেটে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। যার ফল বর্তমান প্রজন্ম যেমন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বয়ে নিয়ে আসছে বিষাক্ত পৃথিবী। যার আঁচ আজই উপলব্ধি করতে পারছি আমরা। প্রতিনিয়ত বৃক্ষছেদনের জেরে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে কমছে বৃষ্টিপাত বাড়ছে ভূমিধস, পানীয় জলের তীব্র সংকটের মতো ভয়াবহ ঘটনা। নির্বিচারে সবুজ ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো ভারতও ব্যাপকভাবে এর প্রভাব টের পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় ভূনিমস্থ জলের স্তর যেমন তলানিতে ঠেকেছে তেমনি পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। আর এই সংকটের জন্য দায়ী প্রকৃতি নয়, অবশ্যই আমরা। কিন্তু সবক্ষেত্রেই যেমন কিছু খারাপের মধ্যে কিছু ভালোও থাকে তেমনি আজও এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ বা সংস্থা রয়েছে যারা সমাজের প্রতি নিজেদের উজাড় করে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননা। মূলত তাদের জন্যই আজও কিছুটা হলেও আশার আলো রয়েছে। এমনই এক সংস্থা UBANTU Charitable Trust। এই সংস্থার তরফে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে তাদের সবুজ বাঁচাও কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। কেন্দুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইচ্ছাপুর এন ,সি হাইস্কুল বিদ্যাসাগরপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তারা স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সবুজ বাঁচাও-র অঙ্গীকার প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানালেন এই সংস্থার আধিকারিকগন। তারা জানালেন, বর্তমানে পৃথিবীর শতকরা ২০ ভাগ বনভূমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্য। সবথেকে আশঙ্কার খবর হল সারা পৃথিবীর ২০ ভাগ বনভূমির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এর শতকরা হার আশঙ্কাজনক ভাবে কম। আর এই কারণেই আগামী প্রজন্মকে প্রকৃতির এহেন পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহল করতেই সংস্থার এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে।