নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়াঃ কৃষিতে সঙ্কট মোকাবিলায়, চাষীদের রেহাই দিতে কি এবার ‘খরা’ ঘোষনা হবে বাঁকুড়া জেলায়? জেলা কৃষি দপ্তরের একটি সূত্র মোতাবেক- “ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে সেই মর্মেই”। অগষ্টে নিজের গরীমা বজায় রাখলেও, ভরা মরসুমে নিখোঁজ বর্ষা এবার যাকে বলে কাঁদিয়ে ছেড়েছে জেলার তাবৎ চাষিকূলকে। জুন, জুলাই মাসে যে ধরনের বৃষ্টি হয়েছে,তাতে ডাঙ্গাও ভেজেনি ঠিকমতো। তাই ধান রোওয়ার কাজ শুরুই হয়েছে বিস্তর বিলম্ব করে। মরসুম শেষে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লকে তাই এখন চাষীদের মধ্যে হাহাকার । চাষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে খাতড়া আর বাঁকুড়া সদর মহকুমায়। খাতড়া মহকুমায় চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৩২ শতাংশ আর সদরে ৫২ শতাংশ। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে জেলায় জুন মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ৯৭ মিলিমিটার আর জুলাইতে ১৯৯ মিলিমিটার চাষের জন্য যা অপ্রতুল। তবে, অগাস্ট জুড়ে ২৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিই শেষ পর্যন্ত কৃষকদের মাঠে হাল নামাতে সাহায্য করে। গোটা জেলায় বর্ষা মরসুমে যেখানে ১০৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা, সেখানে এখন অব্দি বৃষ্টিপাতের মোট পরিমান মেরেকেটে সাড়ে ৬০০ মিলিমিটার। প্রায় ৪০০ মিলিমিটার ঘাটতি। এস.ইউ.সি.আই দলের কৃষক মোর্চা- ‘ সারাভারত কৃষক ক্ষেত মজুর সংগঠন’ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে, বাঁকুড়া জেলার এবছর খরা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি, দিলিপ কুণ্ডু বলেন, ” এতই কম বৃষ্টিপাত যে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এবার চাষ করাই গেলনা। মানুষ খাবে কি? অবিলম্বে সরকার বাঁকুড়ায় খরা ঘোষণা করে চাষীদের ক্ষতিপূরণ দিক। নাহলে আমরা বড়রকমের আন্দোলন করব।” ইতিমধ্যেই সংগঠন জেলাশাসকের দপ্তরে একটি ডেপুটেশন দিয়েছে এবিষয়ে। বাঁকুড়া জেলায় এবার ৩.৬০ লক্ষ হেক্টর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য ছিল।হেলার উপকৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ” খরা ঘোষণা এভাবে করা যায়না ব্লকভিত্তিক চাষের পরিস্থিতির ময়না তদন্ত করে, তবেই সিধান্ত সম্ভব।”