সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া : নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছিল কাঠের অস্থায়ী সেত । দিব্যি সেই সেতু দিয়ে চলছিল নদী পারাপার । কিন্তু বর্ষার কারনে দামোদরের জলের তোড়ে ভেঙে গেল শালতোড়ার ইশরদার কাঠের নড়বড়ে সেতু । সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে আদ্দিকালের ভাঙাচোরা নৌকায় পারাপার করছে ষাট থেকে সত্তর টি গ্রামের আট থেকে দশ হাজার মানুষ । দামোদরের এক প্রান্তে বাঁকুড়া, অন্যপ্রান্তে শিল্পনগরী আসানসোল। উত্তর বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের বেশিরভাগ মানুষেরই রুজি-রোজগারের ভরসা আসানসোল।শালতোড়া এলাকার উৎপাদিত শাক, সবজি, দুধ, মাছ বেশিরভাগটায় নদীপথে রপ্তানি হয় আসানসোলে। আর এই আসানসোল যাবার একমাত্র ভরসা ইশরদার অস্থায়ী কাঠের সেতু।এই সেতু দিয়েই ষাট থেকে সত্তর টি গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ নিত্য যাতায়াত করেন এখানে । কয়েকশো শ্রমিক নদী পেরিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন আসানসোলের বানপুর শিল্পাঞ্চলেও । এই এলাকার উৎপাদিত ফল ফুল সবজি ও দুধের মূল বাজার আসানসোল । স্বভাবতই পেশার টানে এই এলাকার মানুষকে দৈনিক যাতায়াত করতে হয় ওই প্রান্তে । বছরের দশটা মাস কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার এই দুই মাসে তাদের সমস্যা যন্ত্রণায় পরিনত হয় । তখন ঐ পারে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলো নৌকা । আদিকালের ভাঙ্গাচোরা তিনটি নৌকাতে গাদাগাদি করে পিঠে পিঠে ঠেস দিয়েই চলে জীবনের ঝুঁকির পারাপার । মানুষের পাশাপাশি নৌকায় চাপানো হয় সাইকেল,বাইক, বস্তাবন্দী সবজি দুধ সবকিছুই । সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে অপ্রশিক্ষিত মাঝিরা চালিয়ে যাচ্ছে নৌকা । ফলে জীবনের ঝুঁকি টা বড়ই ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায় নৌকায়় থাকা নিত্যযাত্রীদের ।