সংবাদদাতা, বোলপুরঃ ফাঁড়া যেন কাটতেই চাইছেনা একসময়ে লাভপুরের ত্রাস মনিরুল ইসলামের। দলবদলু হয়ে পিঠ বাঁচাতে হুড়োহড়ি করে গেলেন বিজেপিতে। বাহাত্তর ঘন্টা কাটার আগেই জোর ধাক্কা খেয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। এ পর্যন্ত যা হোক ঠিক ছিল। কিন্তু, আদালতের চক্করে ‘খুনী’ অতীত সত্যিই পিছু ছাড়ছে না মনিরুলের। ২০১০ সালে বীরভূমের লাভপুর গনহত্যায় মনিরুল সহ ১০ অভিযুক্তের এখন তাই হাঁসফাঁস দশা। ২০১০-র জুন মাসে লাভপুরে খুন হয় তিন ভাই- বাটুল সেখ, বাদু সেখ আর তুজুক সেখ। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনিরুল সেখ। লাভপুরের বিধায়ক তিনি। মাঝে দলবদলু হয়ে মনিরুল অন্য রাজনীতির নেশায় বেশ মেতে উঠেছিলেন। কিন্তু, গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট আচমকাই তার ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, প্রথম তদন্তকারি অফিসারকে দিয়ে ৩ মাসের মধ্যে ফের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতি মিত্র এ নির্দেশ দিয়েছেন। নতু্ন করে যে তদন্ত শুরু হবে তা জেলা পুলিশ সুপারের নজর দারিতে করতে হবে বলে বিচারপতি মিত্র নির্দেশ দিয়েছেন। পাশপাশি, “সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প ২০১৮” মোতাবেক মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিৎ করার নির্দেশও জারি করা হয়েছে। বিচারপতি মিত্র ভৎসনার সুরে জানিয়েছেন- বীরভূমের, ওই তিন ভাই’ র হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্তই হয়নি। তাই ৩ মাসের মধ্যে ফের তদন্তের নির্দেশ। এদিকে, নতুন করে তদন্তের নির্দেশে যারপর নাই মুষড়ে পড়েছেন একসময়ের দোদন্ডপ্রতাপ বিধায়ল মনিরুল। যদিও, এবিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। তবে, তার চোখে মুখে লক্ষ্য করা গেছে গভীর দুশ্চিন্তার ছাপ ।