সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া :- বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর শীলাবতী নদীর উপর প্রায় দুশো ফুট লম্বা এবং পঞ্চাশ ফুট চওড়া ব্রীজটি তৈরী হয়েছিল সিমলাপালে গত বাম জামানায়।কিন্তু ব্রীজের বর্তমান অবস্থা বেহাল।ভারী বৃষ্টি বা বন্যা এলে নিচু ব্রীজ ছাপিয়ে জল উপরে উঠে ব্রীজের, যান চলাচল স্তদ্ধ হয়ে পড়ে এবং বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম যোগাযোগ ব্যাহত হয় সাথে সিমলাপাল ব্লকের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের মানুষজনরও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ব্রীজের উপর গার্ড পিলার বেশির ভাগই ভেঙ্গে পড়ে আছে, এমনকি ব্রীজের মাঝে মাঝে দেখা দিয়েছে ফাটল। আর এর উপর দিয়েই চলছে ভারী ভারী মালবাহি, যাত্রীবাহি গাড়ি। আতঙ্কিত এলাকবাসীর দাবি দ্রুত এই ব্রীজটিকে মেরামতি করতে হবে। নাহলে যেদিন খুশি বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে ব্লক প্রশাসন এবিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছি।স্থানীয় বাসিন্দা তাপস পাল জানান যে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তুির শিকার হচ্ছি, প্রশাসনকে ব্যাপারটি বারবার জানিয়েও কোন লাভ হয়নি,যখন টানা বৃষ্টি বা বন্যা হয় সেময় ব্রীজের উপর বানের জল উপরে ওঠে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আলিহুসেন মন্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, সিমলাপাল সদর হাসপাতাল ও অন্যান অফিস থাকায় তখন ব্রীজের এপারে থাকা কোন মানুষ বিপদে পড়লেও কিছু করার থাকেনা। ব্রীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি সহ্য করে আপশোষের সাথে জানায় মৃনাল কান্তি সিনহাবাবু, বার বার জানানোর পর কোন সুফল এখনও তো হয়নি। আর এদিকে ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষগিগ্রস্থ হয়ে পড়ে আছে, যেদিন খুশি ব্রীজ ভেঙ্গে বড় বিপদ হতে পারে,এছাড়াও ব্রীজের উপর বন্যার সময় জল ওঠে যায়, যাতাযাত বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরুপায় হয়ে পারাপার করছে। এব্যাপারে সিমলাপালের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী জানায়, বন্যা হলে কয়েক ঘন্টা যানচলাচল ব্যাহত হলেও আমরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লিয়ার করার ব্যবস্থা করি।এছাড়া ব্রীজটি অনেক পুরনো ব্রীজ এবং এটি বিষ্ণুপুর পি ডব্লু ডি এর অন্তর্ভুক্ত। আমারা ওনাদের যোগাোগ করেছি এবং খুব দ্রুতই ব্রীজটি মেরামত করা হবে এবং শীলাবতী নদির উপর নতুন একটি ব্রীজের প্রপোজাল রয়েছে এবং এটি দ্রুত অনুমোদন হয়ে যাবে বলে জানান।