সংবাদদাতা, লাউদোহা :- ছেলেধরা গুজবে উত্তাল খনি অঞ্চল। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও এই গুজবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, সালানপুরের পর শনিবার অন্ডালের ছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর গ্রামেও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন এক যুবক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুজব আটকাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও গুজব আটকানো যাচ্ছে না। শনিবার সকালে লাউদোহা থানার গোগলা পঞ্চায়েতের বনগ্রাম নিউ পিঠ এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিন সকালে দুজন মহিলাকে ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রাখে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। ছেলেধরা, ধরা পড়েছে মুহূর্তেই এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। আটক মহিলাদের মারতে উদ্যত হয় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে আটক দুই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে লাউদোহা থানার পুলিশ। আটক দুই মহিলার নাম নূরজাহান বিবি ও জামারাতন বিবি। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় দুজনেই থাকেন পাণ্ডবেশ্বর থানার বালুর বাঁধ এলাকায়। ভিক্ষাবৃত্তি তাঁদের পেশা। অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও তাঁরা বনগ্রামের নিউ পিট এলাকায় ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন। আচমকাই ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় মানুষজন তাঁদের ঘিরে ধরে ও অনেকে মারতেও উদ্যত হন। সময়মতো পুলিশ তাদের উদ্ধার না করলে আজ হয়তো প্রাণটাই যেতে বলে জানান নূরজাহান বিবি। থানায় দাঁড়িয়ে নূরজাহান বিবির স্বামী আসগর আলী বলেন সময়মতো পুলিশ না পৌঁছলে আজ হয়তো স্ত্রীকে ফিরে পেতাম না। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাঞ্চন দাস এই প্রসঙ্গে বলেন ছেলেধরা গুজব আটকাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান।