সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া :আকাশে পেঞ্জা তুলোর মত সাদা মেঘ, প্রকৃতির বুকে কাশের দোলা জানান দিচ্ছে মায়ের আগমনী বার্তা। কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত চিন্ময়ী মায়ের মৃণ্ময়ী রূপ দিতে। তবে এবার ব্যবস্তা নেই বাঁকুড়ার পাঁচমুড়াচ গ্রামের মৃৎশিল্পীদের। টেরাকোটা শিল্পে বিখ্যাত এই গ্রামের মৃৎশিল্পীরা বিগত বেশ কয়েক বছর কলকাতার নজর কাড়া পুজো মণ্ডপ থেকে টেরাকোটার প্রতিমার অর্ডার পেলেও এবার তাঁরা কোন টেরাকোটার প্রতিমার দেওয়ার বরাত পাননি। ফলে ব্যবস্ততাও নেই শিল্পীদের মধ্যে। গ্রামের শিল্পীদের কথায় শেষ কয়েক বছর ধরে কলকাতা বা শহরতলির বিভিন্ন মণ্ডপ যেত পাঁচমুড়া গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরী টেরাকোটার প্রতিমা। প্রায় তিনমাস আগে থেকে তৈরী হত প্রতিমা, কাজ পেতেন অনেক শিল্পী, তবে এবার সেই ব্যবস্ততা নেই এই গ্রামের শিল্পীদের মধ্যে। মাটির প্রতিমার তুলনায় টেরাকোটার প্রতিমার বাজেট অতিরিক্ত হওয়ার কারণে টেরাকোটার প্রতিমার রাজ্য বা রাজ্যের বাইরে বরাত পাননি । প্রচারের অভাবকেই এর কারণ বলে মনে করছেন শিল্পীরা।
অভিযোগ, শুধু টেরাকোটার প্রতিমাই নয়, অনান্য তৈরী সামগ্রীর ও রপ্তানী বা প্রচারের জন্য বর্তমান সরকার প্রথম যে উদ্যোগ নিয়ে ছিল সেটাও বর্তমানে কিছুটা কমে গেছে। তাঁদের দাবী, সরকারী উদ্যোগে আগে যে ভাবে মাল কেনা হত এখন আর তা প্রায় হয়না বললেই চলে। বর্তমান প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহ হারাচ্ছে এবং সমস্ত মৃৎশিল্পীরা শিল্পী ভাতা পাচ্ছেন না বলে দাবী শিল্পী ভূতনাথ কুম্ভকারের। তবে, তালডাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে চারকোটি টাকা মঞ্জুর করিয়েছি, ওখানে একটা দোকান স্থাপন হচ্ছে যেখানে পর্যটকরা আসবেন এবং সরাসরি মাল কিনতে পারবেন ওই খানেই, যাতে মাল নিয়ে চারদিকে দৌড়াডৌড়ি না করতে হয় এবং খরচাও কমে হয় । সেটা তৈরি হচ্ছে একটু সময় লাগবে বলেও তিনি জানান ।