নিজস্ব প্রতিনিধি, অন্ডাল :-
এক্সিকিউটিভ অফিসারের সাথে ঠিকাদারের বিরোধের ফলে উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয়েছে অচল অবস্থা । প্রধানের মধ্যস্ত তা সত্যেও অচলাবস্থা না কাটায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্য ও ঠিকাদারদের মধ্যে । অন্য দিকে এক্সিকিউটিভ শুক্লা রায় জানান আমার সাথে ঠিকাদার দুর্ব্যবহার করেছে লিখিত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কাজ করবো না । পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে কিছু দিন আগে ঠিকাদার বিপ্লব রায়ের সাথে শুক্লা দেবীর মতবিরোধ হয় । তখন বিপ্লব বাবু তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে শুক্লা দেবী দাবি করেন । তখন বিডিও অফিসে বিডিওর মধ্যস্ত তাই বিপ্লববাবু শুক্লা দেবীর কাছে ক্ষমা চাইলে তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায় । কিন্তু এর পর থেকে শুক্লা দেবী ঠিকাদারদের বিভিন্ন কাজের চেক দিতে গড়িমসি করছেন বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ ।
পঞ্চায়েত সদস্য সীমান্ত ধীবর কমলাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়রা জানান আর কয়েক দিন পরেই দুর্গা পুজো বিভিন্ন রাস্তা ও পাড়ায় সংস্কারের কাজ চলছে । কিন্তু শুক্লা দেবী সেই সকল কাজের চেকে ও সই করছেন না ফলে পুজোর মুখে সদস্যরা সমস্যায় পড়েছেন । ঠিকাদার বিপ্লব বাবু জানান আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু আমি শুল্কা দেবীর সাথে দুর্ব্যবহার করিনি । তবু বিডিওর সামনে আমি শুক্লা দেবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম । এখন আবার তিনি দাবি করেছেন তাঁর কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে তবেই তিনি চেকে সই করবেন । প্রধান রীতা ঘোষ বলেন বিষয়টি আগেই মিটে গিয়েছিল । আবার নতুন করে তিনি কেন জেদ ধরে রয়েছেন সেটাই বুঝতে পারছি না । অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি চেকে সই করছেন না । ফলে অনেক ঠিকাদারদের বকেয়া বাকি রয়ে গিয়েছে । দু পক্ষ কে একসাথে বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে বলে আশ্বাস দেন রীতাদেবী । বিষয়টি নিয়ে শুক্লা দেবীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সমস্ত বিষয়টি প্রধান ও বিডিও জানেন এই বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের কিছু বলব না যা বলার ওনারাই বলুন ।