নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী বিজোন এলাকার আইনস্টাইন এভিনিউয়ের ৮ নম্বর স্ট্রিটের মাথায় কালীবাড়ি রাস্তা ধরে এক বিশাল আকৃতির ৯ ফুটের পাইথন দেখে ফেলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা আর চট্টোপাধ্যায় মহাশয়। তিনি নিজে একজন পশু প্রেমিক বলে তিনি বুঝতে পারেন এই বিশাল আকৃতির পাইথন ধরতে সুদক্ষ ও সুশিক্ষিত সর্প বিশেষজ্ঞ কেউ ডাক দিতে হবে। সেই মতই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন তার পরিচিত দেবাশীষ মজুমদারকে। দেবাশিস মজুমদার বাবু দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুরে সাপ ধরাতে সিদ্ধহস্ত। দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় বহুবার তিনি বহু সাপকে মানুষের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। পশু প্রেমিক দেবাশীষ মজুমদার ফোন পাওয়ার সাথে সাথে ছুটে যান আইনস্টাইন এভিনিউয়ের ৮নম্বর স্ট্রিটের সামনে। তিনি পৌঁছে দেখেন ৯ ফুট লম্বা একটি পাইথন সাপ রাস্তার ধার বরাবর রয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দেন সাপটিকে ধরার প্রক্রিয়। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় অবশেষে তিনি সাপটিকে ধরতে সক্ষম হন। এলাকাবাসীর মধ্যে সাপ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্বভাবতই সবার মনে একটাই প্রশ্ন যে ইস্পাত নগরীর মতন একটি সুসজ্জিত শহরের বুকে কি করে এত বড় একটি পাইথন এসে হাজির হলো। এই বিষয়ে দেবাশীষ মজুমদার বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে ইস্পাত নগরীর ভেতরে কি করে পাইথন দেখতে পাওয়া যেতে পারে। তবুও সন্দেহবশত তিনি দ্রুত এলাকায় এসে দেখেন সত্যি সত্যিই একটি ৯ ফুটের লম্বা পাইথন সাপ সেখানে রয়েছে। তিনি জানান ইস্পাত নগরীর ভেতরে পাইথন সাপ পাওয়া খুব চিন্তা জনক বিষয় , কারণ এখানে সেরকম ভাবে কোনো বড় জঙ্গল নেই তাই এত বড় সাপ এলাকাতে পাওয়া সাধারণ ব্যাপার নয়। এই বিষয়ে দুর্গাপুর বনদপ্তরের আধিকারিক মিলন মন্ডল কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী ইতিহাসে অর্থাৎ প্রায় ষাট দশক যাবত এই রকম কোন পাইথন ধরা পড়ার কোন খবর তার জানা নেই। তিনি দেবাশিসবাবু কে অনুরোধ করেছেন আগামী দু – একদিন তার কাছে সাপটিকে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখতে, পরে বনদপ্তর গিয়ে তা উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান।