সংবাদদাতা, লাউদোহা :-
শুক্রবার সকালে লাউদোহার নবঘন পুর গ্রামের হাজরা পাড়ায় নিজের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার এক এক গৃহবধূ ।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে মৃতার পরিবারের মধ্যে। পাঁচমাস আগে লাউদোহার কুচডিহি গ্রামের ঝুমা বাগদী ভালোবেসে বিয়ে করে লাউদোহারই নবগণ পুরের বাসিন্দা সুরজিৎ হাজরাকে। মৃতার কাকা শত্রুঘন বাগদীর দাবি বিয়ের পর থেকেই সুরজিৎ তাদের মেয়ে র উপর নানান ভাবে অত্যাচার করত। এই ক মাসে বেশ কয়েকবার বাড়ীর লোকজন বসে মিটিয়েও দেয়। সংসারিক অশান্তির কারণে তাদের মেয়ে বেশ কয়েকবার বাপের বাড়ী চলে ও আসে। এবার দুর্গাপুজোর সময় তাদের মেয়ে জামায় একসাথে তাদের বাড়ি আসে। বেশ খুশি খুশি তাদের মেয়ে তার শ্বশুর বাড়ী ফিরেও যায়। কিন্তু হঠাৎ আজ সকালে তাদের বাড়িতে খবর যায় যে,তাদের মেয়ে গলায় দড়ি নিয়ে আত্ম হত্যা করেছে।
মৃতা ঝুমা বাগদি মা শীলা বাগদি তাদের মেয়ের আত্মহত্যার কথা মানতে পারছেন না,শীলা দেবী দাবি করেন তাদের মেয়েকে তাদের জামাই ও তার বাড়ীর লোকজন মেরে ফেলেছেন । মৃতার কাকা দাবি করেন তাদের মেয়েকে জামাই মেরে ফেলেছেন , তিনি এও বলেন নতুবা তাদের মেয়ে তার স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেন মৃতার পরিবার। ঘটনাস্থলে আসে লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ । পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য পাঠায় ও ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অভিযুক্ত জামাই ও তার এক মামাকে আটক করে। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ফরিদপুর থানার পুলিশ।