বিশেষ প্রতিনিধি, দুর্গাপরঃ- যুদ্ধ বিমানের আনাগোনা বাড়বে দুর্গাপুরের আকাশে। টানা চারদিন শহরের উপকন্ঠে অন্ডাল বিমান বন্দরে ওঠা – নামা করবে ভারতীয় বায়ূসেনার অত্যাধুনিক ‘হক এ কে ১৩২’ শ্রেনীর বিমান।
পানাগড়ে রয়েছে ভারতীয় বায়ূ সেনার নিজস্ব ‘কর্নেল অর্জন সিং’ বিমানঘাঁটি।পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটি থেকে রুটিন মাফিক যুদ্ধ বিমানের যাতায়ত রয়েছে পানাগড় বিমানঘাঁটিতে। সেখানে নামে চার ইঞ্জিনের টার্বো – প্রপেলার যুক্ত সুপার হারকিউলিস। বিমান বাহিনীর সবচেয়ে ভারি আর বৃহত্তম মালবাহী বিমান। তবে, বিমানবাহিনী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য অসামরিক বিমান বন্দর সহ জাতীয় সড়ক ব্যাবহারের বিষয়েও সড়গত হতে চাইছে। বিশেষতঃ চীনের কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় বিমানবাহিনী পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের সামরিক বিমান ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাইছে। কলকাতা বিমান বন্দরে যুদ্ধবিমান ওঠা নামার মহড়া গত সপ্তাহেই সেরে ফেলা হয়েছে। এবার অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমান বন্দরে শুরু হবে মহড়া। ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন চলবে ওই মহড়া। ইতিমধ্যেই অন্ডাল বিমান বন্দর কতৃপক্ষের সাথে দু দফা বৈঠক ও হয়ে গেছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকেরা অন্ডাল ঘুরে ও গেছেন সম্প্রতি। বিমান বন্দরের অধিকর্তা অপূর্ব শর্মা বলেন, “আমাদের এই বিমান বন্দরে চারদিনের যে মহড়া চলবে, তার প্রস্তুতিও চলছে। আমাদের কাছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দেশের স্বার্থে এই রানওয়ে কাজে লাগবে”। অন্ডাল বিমান বন্দরের রানওয়েটি ২৮০০ মিটার দীর্ঘ। ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এটি উদ্বোধন করেন।
অন্ডাল বিমান বন্দর মূলতঃ যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের জন্যই তৈরী। বর্তমানে, এই বিমান বন্দরে থেকে দিল্লি, মুম্বই, হায়দ্রাবাদ ও বেঙ্গাঁলুরু রুটের উড়ান পরিষেবা রয়েছে।বিমান বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ র এপ্রিল মাস থেকে ২০১৯ র মার্চ মাস পর্যন্ত এই বিমান বন্দরে ৪৫৯০৭ জন যাত্রী ওঠা নামা করেছেন। তবে, অ্যাশফাল্টের তৈরী অন্ডালের রানওয়েটি ভারী বিমানের ধকলও সইতে পারবে বলে জানালেন বিমান বন্দরের এক গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার।