সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:-
খাতড়ার তালডাংরা থানা শালতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরে পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে, যদিও পুরো ব্যাপারটা অস্বীকার করে বিজেপির তরফ থেকে সাজানো এবং নাটক’ বলে অভিযোগ করছে তালডাংরা বিজেপি মন্ডল ৩ এর সভাপতি অভিজিৎ লোহার। অভিযোগের ভিত্তিতে তালডাংরা থানায় আটক এক সিদাম সর্দার নামে বিজেপি কর্মী।
শালতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দয়াময় নন্দী জানান, কিছুদিন আগে সিপিএম ডেপুটেশনের পর আমরা দুঃস্থ মানুষের কথা ভেবে ১০০ দিনের কাজ শুরু করি। কাজ চলছিল গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে। সেই প্রসঙ্গে এদিন তিনি পঞ্চায়েতের ভিতরে ছিলেন এবং সেই সময় সিদাম সর্দার এবং রঞ্জন কর্মকার নামে দুই বিজেপি কর্মী, যে পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ চলছে, গ্রাম থেকে সেই কাজ একটু দূরে হওয়ায়, এই বিজেপি কৈফত জানতে চাই। ঐ সময় দুই বিজেপি কর্মীকে পঞ্চায়েত উপপ্রধান বসিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। পঞ্চায়েতের টেবিলে থাকা চারের “ক” ফর্ম নিয়ে ঘাটাঘাটি করে এবং ফর্ম ছিড়ে দিয়ে আমার পিছন থেকে আমাকে আক্রমন করে সাথে সাথে দুজন মিলে বুকে পিঠে কিল ঘুষি মারে এবং তখন আমি আতঙ্কিত হয়ে পুলিশের সহায়তা নিই এবং এক বিজেপি কে পঞ্চায়েতে আমরা রাখি, পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে প্রাথমিক স্তরে আমডাংরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসার পর তালডাংরা ব্লক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অন্যদিকে তালডাংরা মন্ডল তিন এর বিজেপি সভাপতি পুরে ঘটনাটি অস্বীকার করে সাজানো ঘটনা বলে দাবী করেন, তিনি জানান এদিন আমাদের শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ সিদাম সর্দার আজ পঞ্চায়েতে একটি সার্টিফিকেট নিতে যায় এবং ওকে তখন পঞ্চায়েতে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি এবং সেখানে উপস্থিত তৃনমূল নেতারা আমাদের কর্মীকে মারধোর করে এবং থানার আমাদের কমীর নামেই অভিযোগ দায়ের করে।