বিশেষ প্রতিনিধি, মেজিয়াঃ- নয় নয় করে টানা ছয় মাস ধরে পঞ্চায়েতে আসছেন না প্রধান , উপপ্রধান থেকে নির্বাচিত ১৩ জন সদস্যই। ফলে সেই জুলাই মাস থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে পঞ্চায়েতের বোর্ড মিটিং। থমকে গেছে সমস্ত রকম সরকারি প্রকল্পের কাজ । বারবার তলব করেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শুক্রবার বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লক এর রামচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত থেকে সমস্ত সরকারি কর্মীকে উঠিয়ে নিলেন জেলাশাসক । শুক্রবার তাদের মেজিয়া বিডিও অফিসে তুলে আনা হয় । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে।
গত বছরই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রামচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে ৯৬,৫০০ সৃষ্টি করে ব্লকের মুখ উজ্জ্বল করেছিল। চলতি বছরে মাত্র ১৮ হাজার ৩৬৬ শ্রম দিবস সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ যেমন কাজ পাচ্ছে না তেমনি পঞ্চায়েতে ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকার ফান্ড থাকা সত্ত্বেও কোন সরকারি প্রকল্পের কাজে টেন্ডার ডাকা যাচ্ছে না, বলে জানান পঞ্চায়েতের কার্যবাহী সহায়ক হারাধন মাঝি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে গত আগস্ট মাস থেকে ওই পঞ্চায়েতের সব নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে মোট চারবার বৈঠক করেন বিডিও অনিরুদ্ধ ব্যানার্জি । ফল মেলেনি তাতেও। শেষমেষ শুক্রবার বিষয়টিতে ক্ষুব্দ জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস কড়া পদক্ষেপ নিলেন ৮ জন সরকারি কর্মীকে প্রত্যাহার করে। জেলাশাসক জানান “ওরা যখন অফিসে আসবেন না আমরা কর্মীদের ওখানে শুধু শুধু বসিয়ে রেখে কি লাভ , এবার থেকে বিডিও নিজে সব কাজ দেখভাল করবেন। এদিকে গোটা ঘটনায় ব্যাকফুটে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে শালতোড়া বিধায়ক স্বপন বাউড়ি বলেন “কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে শিগগিরই সব মিটে যাবে”।