সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ-
সভ্যতার চাকা যত দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সভ্যতার উন্নতিতে সকালে ঘুম থেকে উঠলেই হাতের নাগালে পাচ্ছি সবকিছু।
কিন্তু সভ্যতা যত উন্নতির দিকে যাচ্ছে ততই দূষণের পরিমাণ বাড়ছে সমাজে। তাই সমাজকে দূষণমুক্ত করতে এবং প্লাস্টিক মুক্ত করতে এবং প্লাস্টিক মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিশেষ উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার মঙ্গলপুর গ্রিম পঞ্চায়েত। প্লাস্টিক এমন এক বর্জ্য পদার্থ যা কখনোই মাটির সাথে মিশে যায় না। যা বছরের-পর-বছর মাটিতে মিশে থেকে মাটির দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে সমাজেও বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রা। আর তাই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং সমাজের উন্নয়নের দিকে নজর দিতে এবং দূষণের মাত্রা কমাতে মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসী থেকে সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় ৫ টি স্টল করা হয়েছে সেখানে সাধারণ মানুষরা প্লাস্টিক জমা করছেন।
মলয় গুপ্ত নামে এক গ্রামবাসী বলেন, মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে গ্রাম দূষণ মুক্ত হবে। এই উদ্যোগ আমাদের খুবই ভালো লাগছে। এর ফলে সমাজ অনেকটাই প্লাস্টিক মুক্ত হবে বলে মনে করেন তিনি। কাত্তিক মাঝি নামে অপর এক গ্রামবাসী বলেন, মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করার মানসিকতা তাদের মধ্যে রয়েছে। তিনিও পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকান্ত সরকার বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতে যে বোর্ড মিটিং হয় সেখানে এই বিষয় নিয়ে একটি পরিকল্পনা করছিলাম, যে কিভাবে দূষণমুক্ত প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ বা পঞ্চায়েত গঠন করা যায় গিভ এন্ড টেক পলিসি হিসাবে। তিনি বলেন প্লাস্টিক তো এমনি এমনি কেউ দেবে না সেই হিসেবে আমরা উদ্যোগ নিলাম, এক কেজি ওজনের প্লাস্টিক জমা দিলে সাতটা ডিম তাকে দেওয়া হবে পাঁচশ ওজনের প্লাস্টিক জমা করলে তাকে তিনটে ডিম এবং আড়াইশো গ্রামে প্লাস্টিক জমা দিলে একটা ডিম তাকে দেওয়া হবে। তবে এর মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও প্লাস্টিক মুক্ত পঞ্চায়েত গঠন করা যাবে বলে তিনি মনে করেন। পঞ্চায়েত গত ভাবে বিভিন্ন দোকানগুলিতে প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো জন্য আবেদন করা হলে প্লাস্টিক ব্যবহার অনেকটাই।