সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বা্ঁকুড়ার লোক ভাষায় যা ‘মুড়ি পরব’-নামে বেশী পরিচিত।সকাল থেকেই আশেপাশের প্রায় গোটা ত্রিশেক গ্রাম ছাড়া শহর বাঁকুড়া, এমন কি অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা থেকে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু, বান্ধবদের নিয়ে প্রচুর মানুষ সামিল হন এই মুড়ি মেলায় চপ, বেগুনি, চানাচুর, সিঙ্গাড়া, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, টমাটো, ধনেপাতা সহ হরেক উপাদেয় উপকরন দিয়ে মাখা হয় মুড়ি। আর দ্বারকেশ্বর নদের চরের নরম বালি আঙ্গুল দিয়ে খুঁড়ে মেলে মিঠা জল। এই জল সংগ্রহের ছোটো তৈরী করা গর্তকে স্থানীয় ভাষা বলে চু্য়া। এই চুয়ার জলে মুড়ি ভিজিয়ে খাওয়ার রীতি চলে আসছে প্রায় ১৫০ বছর ধরে। বাবা, ঠাকুরদার এই রীতি মেনেই আজও নুতন প্রজন্মের ছেলে, মেয়েরাও এই মেলায় মিলিত হয়।রাশি রাশি মুড়ি আর হাজার হাজার লোকের ভীড়ে মুড়ি পরব কার্যত হয়ে উঠেছে সর্বজনীন! মুড়িই এখানে সব বাধা দূরে ফেলে, মিলিয়ে দিয়েছে আম জনতাকে। তাই মেলা শেষেও লোকের মুখে, মুখে ফিরছে এই মুড়ি পরবের মহিমা।