সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- অবশেষে সোনামুখী পৌরসভার পৌর প্রধান সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ের আপ্রাণ প্রচেষ্টা সোনামুখীর নাইফেলায় তৈরি হতে চলেছে ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন, স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া সোনামুখী শহর ও ব্লকের দশটি অঞ্চলের গ্রামবাসীদের মধ্যে। এতদিন পর্যন্ত সোনামুখী শহরে বা তার আশেপাশে কোথাও কোন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে বাঁকুড়া অথবা বিষ্ণুপুর থেকে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি আসত, ফলে ততক্ষনে সবকিছুই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতো। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের একটা দাবি ছিল সোনামুখী শহরে একটি ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন হোক। আর সেই মতই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় এবং সোনামুখী পৌরসভা পৌরপিতা সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় আপ্রাণ প্রচেষ্টা সোনামুখীতে হতে চলেছে ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন। ইতিমধ্যেই জায়গা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে পৌরসভা ভোটের আগেই শুরু হবে কাজ। সোনামুখীর এক বাসিন্দা সুনন্দন ব্যানার্জি বলেন, সোনামুখী পৌরসভা ১০০ বছরের বেশি পুরনো এবং সোনামুখীতে এমার্জেন্সি কিছু হলে ফায়ার ব্রিগেড এর প্রয়োজন পড়ে তাহলে বাঁকুড়া বা বিষ্ণুপুর থেকে আসতে হয়, সেটা একটা সময় সাপেক্ষ। দীর্ঘ ৩৪ বছর পৌরসভায় সিপিএম ক্ষমতায় থাকলেও সাধারণ মানুষের দাবি পূরণ হয়নি। অবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং পৌরসভার পৌরপিতা সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় এর আপ্রাণ চেষ্টায় ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন হচ্ছে। এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। আগামীদিনের সরকারের কাছ থেকে আরো উন্নয়ন দাবি করেন তিনি। সোনামুখী পৌরসভার পৌরপিতা সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, খুব খুশি আমরা ধন্যবাদ জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১৫ সালের ছাব্বিশে মেয়ে সোনামুখী পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি প্রথম যেটা লক্ষ করেছিলাম সোনামুখীতে অট্টালিকা বাড়ি হচ্ছে অথচ ফায়ার সার্ভিস নেই। এটা আমাদের অত্যন্ত বিচলিত করেছিল। তাই ২০১৫ সাল থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মমতাদির সাথে কথা বলে প্রকল্প টা নিয়ে অগ্রসর হই। এবং দিদি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের কে প্রকল্প অনেক আগেই অনুমোদন দিয়েছে। আমরা পৌরসভার জায়গা অনেক আগেই ফায়ার সার্ভিস কে হ্যান্ডওভার করেছিলাম, কিন্তু পি.ডব্লু.ডি একটু দেরি করায় উদ্বোধন হতে দেরি হল।