সঙ্গীতা চৌধুরী,বহরমপুরঃ- গোলাপ না তাঁর পছন্দের ফুল জুঁই। তবে আপনি ভালোবেসে তাঁকে গোলাপ দিলেও তিনি রাগ করবেন না। কারণ তিনি ভালোবাসার ভাষা বোঝেন। তিনি করুণা বোঝেন। তিনি অন্তর কে প্রত্যক্ষ করেন। আপনি মিথ্যে বললেও তিনি ধরে ফেলবেন। তাই তার কাছে যাওয়ার জন্য সত্যব্রত অবলম্বন করতে হয়। তাঁকে পেতে গেলে চরিত্রের থেকে অহং বাদ দিতে হয়। হতে হয় বিনয়ী। নিজেকে ভাবতে হয় তৃণের থেকেও তুচ্ছ। তাঁর ভালোবাসার রং হলুদ। কারণ লক্ষী দেবী বা রাধারাণীর গায়ের রং ছিলো হলুদ বর্ণ। তাই তিনি পীত বস্ত্র পরিধান করেন। আজ তাঁকে হলুদ বস্ত্র ই কিনে দিন। আর তাঁর পছন্দের খাবার দুগ্ধজাত ক্ষীর, মাখন, ননী। এরপর তাঁকে বলুন ভালোবাসার সেই চিরাচরিত উচ্চারণ -“তুমিই আমার হাত ধরো। আমি মোহবশত দূরে সরে গেলেও তুমি শক্ত করে আমার হাত টা ধরে রেখো ঠিক যেভাবে মা, বাবা ভিড় মেলাতে সন্তানের হাত ধরে।”এই কথায় আপনাকে তাঁর সাথে আবদ্ধ করে রাখবে জন্ম জন্মান্তরে। -ভালোবাসার এই সপ্তাহে নিজের হাতে তাঁর জন্য রাঁধুন। রান্না করার সময় কথা বলবেন না।(কথা বললে মুখ থেকে থুতু পড়তে পারে) এরপর তাকে খাওয়ান। আর তাঁর খাওয়া হয়ে গেলে নিজে খাবার খান। আজ তাঁর নাম করে নিরামিষ খান।আর একটু তাঁর বলা কথা গুলো স্মরণ করুন। তিনি সর্বকালের প্রেমিক পুরুষ। তিনি ভগবান। তিনি শ্রী কৃষ্ণ। ভালোবাসার এই সপ্তাহে তাঁকে ভালোবাসুন। এতে আপনার মঙ্গল হবে। সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।শাস্ত্রে বলা হয় তিনি যা পছন্দ করেন তাই চরম সত্য।তাই বৈষ্ণব গণের কাছে বা একজন কৃষ্ণ ভক্তের কাছে ভালোবাসার ফুল ও ভালোবাসার রং তাই যা পরমপুরুষ পছন্দ করেন। যা পরমাত্মা পছন্দ করেন। বৈষ্ণব বা কৃষ্ণ ভক্তদের খুব পছন্দের রং নীল। প্রেমের মূর্ত প্রতীক রাধারাণীনীল বস্ত্র পড়তেন। কারণ কৃষ্ণের গায়ের রং ছিলো উজ্জ্বল নীল বর্ণ। তাই বৈষ্ণব দের কাছে ভালোবাসার রং লাল নয় নীল। যেহেতু তাতে কৃষ্ণ বর্ণের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে।”যদি আমা প্রতি স্নেহ থাকে সবাকার।তবে কৃষ্ণ ব্যতিরিক্ত না গাইবে আর।। কি শয়নে কি ভোজনে কিবা জাগরণে। অহর্নিশি চিন্ত কৃষ্ণ বলহ বদনে।।”
তোমরা যদি আমাকে ভালবাসো, তবে তোমরা সর্বদা কৃষ্ণনাম কর। শয়নকালে, ভোজনকালে, জাগ্রত অবস্থায় দিবারাত্র তোমরাকৃষ্ণ কথা চিন্তা কর আর কৃষ্ণকথা বল।’ -শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু।