বিশেষ সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- এবার চাষ করার জন্য নতুন জমির সন্ধানে নামার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই কাজে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেও পড়ল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
“আপাততঃ আমরা বাঁকুড়া জেলায় ৩০০০ হেক্টর অনাবাদী, অনুরবর জমি কে ঘিরে সেটি কে বহুমুখী চাষ যোগ্য জমিতে পরিনত করবো। মুখমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর, মুখ্য সচীবের নির্দেশে আমরা দুর্গাপুরের একটি হোটেলে কৃষি ও সহযোগী বিভাগ গুলির সচীবদের নিয়ে একটি বৈঠকও করি গত বৃহস্পতিবার”, জানালেন রাজ্য বীজ নিগমের ডিরেক্টর শুভাশিষ বটব্যাল। তিনি বলেন, “গোটা বিষয়টি নিয়ে সু নির্দিষ্ট ভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি করেই পরিকল্পনা রুপায়ন চাইছি। সরকারের পরিকল্পনা আর স্থানীয় মানুষ জনের অংশীদারির মাধ্যমে প্রকল্প গড়ে উঠবে। রাজ্যের মধ্যে এধরনের প্রকল্প এই জেলাতেই প্রথম করা হচ্ছে। এটি সফল হলে, অন্যত্রও এমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে”।
শুখা জেলা বাঁকুড়ায় বহু ব্লকে সেচ নির্ভর চাষ হয়। বৃষ্টি কম হওয়ায় আবার কংসাবতী জলাধার পর পর দু’বছর সেচের জলের যথেষ্ট যোগান দিতে পারে নি। তাই, বহুমুখী চাষের জন্য অনুরবর, পতিত জমি কে কাজে লাগাতে চাইলেও ভাবাচ্ছে পর্যাপ্ত জলের কথা। বাঁকুড়ার জেলা শাসক উমাশংকর এস বলেন, “জমি কে চাষ করার পাশাপাশি, সেখানেই ভূ গর্ভস্থ জল তুলে স্থানীয় ভাবে সেচের ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে”।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী’র প্রশাসনিক বৈঠকের পর সিমলাপাল ব্লকে এ রকমই একটি প্রকল্প ঘুরে দেখেন রাজ্য সরকারের সচীব স্তরের আধিকারিকরা। রাজ্য বীজ নিগমের ডিরেক্টর শুভাশিষ বটব্যাল বলেন, “স্থানীয় ৮০ টি পরিবার কে সাথে নিয়ে সিমলাপালে ৩ টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ভূ গর্ভের জল তুলে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অফিসাররা তা দেখে সন্তোষ প্রকাশও করেছেন”।