সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়া জেলা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বিকাশ ঘটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন এবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক অভিনব উদ্যোগ সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া জেলা বাসী। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ তাদের জনসংযোগ ও সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে জেলার শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে এক গুচ্ছ কর্মসুচী নিয়েছে। শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে বসেছিল অরণ্যের আড্ডা আর সেখানেই কর্মসূচির বিকাশের প্রথম পদক্ষেপ। নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আনন্দ মুখর হয়ে উঠেছিল গোটা পাহাড়ের পাদদেশ। এর পাশাপাশি ইকো গ্রাম কি ভাবে রক্ষা করতে হবে সে বিষয়েও বিস্তর আলোচনা হয। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুশুনিয়ার হাঁপানিয়া গ্রামের বাড়ীর বিভিন্ন দেওয়ালে আঁকা হয়েছে আদিবাসী চিত্রকলা। এই আড্ডায় পর্যটকেরাও ধামসার বোলে কোমর দোলানো উপভোগ করতে পারবেন। হাঁপানিয়ার এই প্রজন্মের ছেলে, মেয়েরা এই চিত্রকলায় গ্রাম সাজানোর কাজে এগিয়ে এসেছে। পাশাপাশি, প্লাস্টিক মুক্ত ও স্বচ্ছ গ্রাম গড়তে গ্রামবাসীদের সচেতনও করছে তারা। আর এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশও।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল সামন্ত জানান,পুলিশের সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে ইকো গ্রাম গড়ে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি, এলাকার সাংস্কৃতিক বিকাশ ও হোম স্টে গড়ে পর্যটন পরিষেবার উন্নতি ও প্রকৃতির কোলে গ্রীণ লাইব্রেরি, খোলা আকাশের নীচে মুক্ত পাঠাগার গড়ে গ্রামীন মানুষেরদের বিনোদন ও পঠন পাঠনের খোরাকও জোগাচ্ছে জেলা পুলিশ। বাঁকুড়া জেলার পর্যটন মানচিত্রে শুশুনিয়া পাহাড় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। জেলা পুলিশের উদ্যোগে পাহাড়ের সৌন্দর্য, পাহাড় লাগোয়া গ্রামের সৌন্দর্য আরো বেশি মাত্রায় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে সে বিষয়ে ক্দ্বিন মত নেই। এছাড়াও গ্রামের মানুষরা বিশেষ করে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আদিবাসী শিল্পকলার প্রতি আরো বেশি আগ্রহ তৈরি হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে শুশুনিয়াতে তিন গ্রামবাসীর বাড়ীতে হোম স্টে গড়ে তোলা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই এগুলির বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহার চালু হয়ে যাবে বলেও জানান শ্যামল বাবু। এদিকে, পুলিশের এই অভিনব বহুমুখী প্রকল্প জেলার উন্নয়নে যে অন্য মাত্রা যুক্ত করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।