সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ- পাঁচটি নদী’র মোট ৮০ টি বৈধ ঘাটে বালি তোলার ‘লীজ’ অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে, সপ্তাহ ভর নিদেন পক্ষে ৩০০ ঘাট থেকে দেদার বালি পাচার চলে পুরুলিয়ায়। অভিযোগঃ পুলিশ, তৃনমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কোল মাফিয়া আর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের গাঁট বন্ধনেই জেলা জুড়ে বেআইনী বালি পাচারের এই রমরমা।
বেআইনী ভাবে তোলা বালির একটা বড় অংশ সরাসরি ঝাড়খন্ডে চলে যাচ্ছে আর বাকিটা আসানসোল, রানিগঞ্জ হয়ে চলে যায় এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
দামোদর, সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, কুমারী, দ্বারকেশর নদী থেকে পুরুলিয়া জুড়ে লাগাম ছাড়া বালি উত্তোলন চলছে দিন ভর। কোথাও কোথাও আবার মাটি কাটার হাইড্রালিক পে-লোডার মেশিন লাগিয়ে, সরকারি নির্দেশ, সুপ্রীম কোর্টের গ্রীন ট্রাইনব্যুনালের আদেশ কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। জানা গেছে, কয়লা মাফিয়াদের একটা অংশ এখন বেআইনী বালি পাচার কে নিয়ন্ত্রন করছে। শুধু পুরুলিয়াই নয়, বাঁকুড়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জুড়ে বিস্তৃত তাদের কাজ কারবার। বিষয়টি নিয়ে জেলা ভূমি, ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর গোড়ায় নড়ে চড়ে বসে। জেলা প্রশাসন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়- সমস্ত বালি ঘাটে সর্বক্ষণ নজরদারির জন্য সি.সি.টি.ভি র ব্যবস্থা করবে। হয়নি কিছুই। জেলা শাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “সমস্ত বালি ঘাটের মালিকদের ইতিমধ্যেই সচেতন করা হয়েছে। পুলিশও ভূমি রাজস্ব দপ্তর কে সাথে নিয়ে ঘাটে ঘাটে অভিযান চালানো হবে শিঘ্রই”।