সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- এন.আর.সি, এন.পি.আর এবং সি.এ.এ. বাতিলের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে সরগরম দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরী। ইস্পাত নগরীর এ-জোন, বি-জোন, সি-জোন সহ আশেপাশের গ্রামগুলি থেকে ডজন ডজন যুবক, যুবতী, গৃহবধূ এ দিন সকাল থেকেই জড়ো হন বি-জোনের কাশিরাম দাস ময়দানে। তাদের দাবি- ‘অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে হবে সি.এ.এ.। বাতিল করতে হবে এন.আর.সি এবং বন্ধ করতে হবে এন.পি.আর”। বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল ‘সারা বাংলা এন.আর.সি বিরোধী নাগরিক কমিটি’র দুর্গাপুর শাখা।
এ দিন বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে সি.এ.এ. কে সরাসরি ‘ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টিকারী কালা আইন’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
রবিবার স্থানীয় চন্ডঈদাস বাজারে সাপ্তাহিক কেনাকাটা করতে যান বহু মানুষ। শহরের বুকে আচমকাই এই প্রতিবাদের জমায়েত দেখে তারা থমকে দাঁড়িয়ে যান কিছুক্ষন। কেউ কেউ বাজার যাওয়া ভুলে গিয়ে শামিল হয়ে যান বিক্ষোভেও।
বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ ডাঃ বিশ্বরূপ চ্যাটার্জি, আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম, আইনজীবী সোমনাথ ব্যানার্জি, প্রধান শিক্ষক নিজামুদ্দিন কাজি, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার তপেশ ব্যানার্জি হাই ফেন আবৃত্তি গ্রুপ, সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন সীতানাথ হালদার, অধ্যাপক সৌম্য সেন, শিক্ষক উৎপল রায়, অধ্যাপিকা সুচেতা কুন্ডু, সহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সারা বাংলা এন আর সি বিরোধী নাগরিক কমিটির দুর্গাপুর শাখার যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক মেহেদী হাসান, শিক্ষকা সুমনা গোস্বামী বক্তব্য রাখেন।