সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে গুজব যার অধিকাংশই ভিত্তিহীন গুজব। যা দেখে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। কয়েক বছর আগে ভাগার কান্ড সামনে আসতে মুরগি বিক্রিতে ভাটা পড়েছিল, আর এবার কোরনা ভাইরাসের আতঙ্কে মুরগি বিক্রিতে ভাটা পড়েছে, ক্ষতির মুখে পোল্ট্রি শিল্প। রাজ্যের সর্বত্র কমেছে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা কমেছে। পশ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে জানানো হয় মুরগির সঙ্গে করোনার যে সম্পর্ক নেই তা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে। কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হতে পারছেন না। আতঙ্ক গ্রাস করেছে সকল মানষের মধ্যে। ফলে তলানীতে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি। আর এ দিন পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা বাজারে কতটা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চোষে বেড়াল আমাদের ক্যামেরা। বিষ্ণুপুর শহরের সাধারণ মানুষ কতটা আতঙ্কিত তার খোঁজ নিতে, সাধারণ মানুষ এখন কি আগের মত পোল্ট্রি মুরগির মাংস কিনছে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে। যেখানে দেখা গেল বিষ্ণুপুরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা রয়েছে, বেশিরভাগ মানুষই পোল্ট্রি মুরগির মাংস কিনছেন, তবে আগের তুলনায় কিছুটা মাংসের বিক্রি কমেছে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে বিষ্ণুপুর ব্লক লিভস্টক ডেভলপমেন্ট অফিসার ডক্টর রাকেশ মন্ডল বলেন , এটা একটা গুজব আমরাও দেখছি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে খবরটা, সে কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একটাই কথা আপনারা গুজবে আতঙ্কিত হবেন না। কারন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন অফ এনিমেল হেলথ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে দিয়েছে নোবেল করোনাভাইরাস এটা মানুষ থেকে মানুষের শরীরে যায়, বাতাসের মাধ্যমে বাহিত হয় এবং এটা খুবই মারাত্মক রোগ। তবে কোনরকম ভাবে এটা মুরগি থেকে মানুষের শরীরে আসে না, বা মুরগির মাধ্যমে বাহিত হয় না। এবং মুরগির মাংসের মাধ্যমে বা ডিমের মাধ্যমে কোন রকম ভাবেই এই ভাইরাস বাহিত হয় না। সুতরাং আপনারা এই গুজবে কান দেবেন না। বিষ্ণুপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমার মনে হয় না মাংসের মাধ্যমে কোন ভাইরাস আমাদের কোন ক্ষতি করবে তাই আমি মাংস কিনতে এনেছি। শ্যামল ভট্টাচার্য নামে বিষ্ণুপুরের এক শিক্ষক বলেন, এটা একটা মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে কিছু গুজব পেলে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে এটা মোটেও ঠিক নয়। যদি আমরা ভাবি ছাগল, ছাগলেও তো হতে পারে। পোল্ট্রি ফার্মে সমস্ত মুরগি ট্রিটমেন্ট করা থাকে কোন অসুবিধায় আমার মনে হয় এর থেকে হবে না। এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী বলেন, আগের থেকে একটু কম ব্যবসা চলছে। এই মুহূর্তে৮০ থেকে ৯০ টাকা কিলো দরে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।