সংবাদদাতা, শালতোড়া- গোপনে বিয়ে করে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলার শালতোরা বিজেপির মন্ডল এক সভাপতি অরুপ মন্ডলের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মন্ডল সভাপতির বাড়িতে গেলে তাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে অরুপ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় বিজেপির মন্ডল সভাপতি। গোপনে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেও শেষ রক্ষা হল না তার।
নিজের ‘বিবাহিত’ পরিচয় গোপন রেখে দুর্গাপুরের এ-জোন এলাকার বাসিন্দা সোনালী হালদার কে সম্প্রতি বিয়ে করে শালতোড়ার নিজেপি নেতা অরুপ মন্ডল। সোনালীর বাবা বাদল মন্ডলের দাবি, “আমার মেয়ে কে ভালবাসা করে বিয়ে করে অরুপ। আমরা ঘুনাক্ষরে ও জানতে পারিনি ও বিবাহিত”। গত ছ’ মাস ধরে সোনালী কে বিবাহিত স্ত্রী’র মতোই সে ব্যবহার করছিল। তার আচার আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় সোমবার দুপুরে অরুপের শালতোড়ার পাবড়া মোড়ের বাড়ীতে সটান হাজির হয় সোনালী। তারপরই গোলমাল বেধে যায় যখন সোনালী নিজেকে অরুপের স্ত্রী বলে পরিচয়। কারন, পাবড়ার বাড়ীতে অরুপের এক স্ত্রী বর্তমান। এরপরই অরুপের পরিবারের লোকজন সোনালীর ওপর চড়াও হয়। পুলিশের কিয়াছে সোনালীর দেওয়া অভিযোগ মোতাবেক, অরুপের দাদা স্বরূপ ও তার স্ত্রী চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে তাকে বের করে দেয়, মারে ও কুৎসিত গালাগালি দেয়।
ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে শালতোড়া থানা থেকে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। বিদ্ধস্ত সোনালী কে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শালতোড়া ব্লক হাসপাতালে। এরপরই, সোনালীর অভিযোগের ভিত্তিতে অরুপ কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপরাধ মূলক বিশ্বাসভঙ্গঁ, বেআইনীভাবে আটক রাখা, মারধরও অপরাধ মূলক হুমকির ধারায় মোকদ্দমা রুজু করা হয়েছে।
বিজেপি নেতার এই পদস্খলনও প্রতারনা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা বিজেপি। শালতোড়ার স্থানীয় বিজেপি অফিসেও গতকাল বিকাল থেকে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া দেয়নি তৃনমূল কংগ্রেসও।