সংবাদদাতা, অন্ডালঃ- বেআইনিভাবে জলাশয় বুঝানোর অভিযোগ উঠল এক বেসরকারি সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি অন্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েত এলাকার। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
সম্প্রতি রানিগঞ্জে এক জনসভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি প্রকাশ্যে বলেন যে বা যাঁরা পুকুর অথবা জলাশয় বোজানোর কাজে যুক্ত থাকবে দল তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনিও ব্যবস্থা নেবে । দল কখনই এ কাজে কাউকে বরদাস্ত করবে না। জেলা সভাপতির এই ঘোষণার পরেও জেলার বিভিন্ন জায়গায় পুকুর ও জলাশয় বোঝানোর একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ও এর ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি স্থানীয় ময়রা শ্মশানের বিপরীতে একটি পুকুর বোজানো কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এলাকায় ফের একটি জলাশয় বোঝানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। জলাশয় বোঝানোর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল – উখড়া রোডের খান্দরা বৃদ্ধাশ্রম বাসস্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এখানে বেসরকারি একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি রয়েছে। সেখানে ঘোড় পোঁতা নামে একটি জলাশয় আছে। ফ্যাক্টরি মালিক সম্প্রতি সেই জলাশয়টি বুজিয়ে নির্মাণ কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাসিন্দা রবি লাল বাউড়ি আকাশ রুইদাস জগু বাউড়িরা জানান দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা ওই পুকুরটি স্নান ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন। পুকুরটি বোঝালে সমস্যায় পড়বে বাসিন্দারা। তাই ফ্যাক্টরি মালিককে পুকুরটি না বোঝানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ফ্যাক্টরি মালিক সেই আবেদনে কর্ণপাত না করে সম্প্রতি পুকুরটি বোঝানোর কাজ করছেন। বুধবার বাসিন্দাদের একাংশ পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে পুকুর বোজানোর অভিযোগ লিখিত জানান খান্দরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী জানান অভিযোগ পেয়েছি বাসিন্দাদের কাছ থেকে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।