সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- কথায় বলা হয় মেয়ে মানুষের চোখে অকারনে জল পড়া খুব খারাপ এতে গৃহের অমঙ্গল হয় স্বামী সন্তানের ওপর ক্ষতি নেমে আসে। কিন্তু কখনো কখনো কান্নাও হয় ভালো। কান্নাও সার্থক হয়ে ওঠে। এমনটা কখন ঘটে জানেন তো? চলুন তাহলে জেনে নেবেন।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলেছেন কান্না তখনই সার্থক হয় যখন মানুষ ভগবানের জন্য কাঁদে। সনাতন শাস্ত্রে এই কথাকেই সমর্থন করা হয়।কোনো অপূর্ণতাকে পূর্ণ করে কাছে পাওয়ার প্রয়াস করতে মানুষ কাঁদে। সন্তান যখন কাঁদে তখনই মা তাকে স্তন্য দুগ্ধ দান করেন। তেমনি একজন ভক্ত যখন ভগবানের চরণে কাঁদেন, ভগবানও ঠিক তখনি অসীম প্রেম ও ভক্তি ভাব তাঁর ভক্ত হৃদয়ে দান করেন। আসলে এটাই কান্নার মহিমা আর এই মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে যদি ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শ্রীচরণ লাভ করা যায়, তাহলে একজন ভক্তের জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না।
তাই সবাই ভগবানের চরণে কাঁদুন, কারন তিনিই একমাত্র সর্বোচ্চ দয়াময় ও করুণাময়। তার চরণে পড়ে তার জন্য কাঁদলে ভক্তিযুক্ত সেই অশ্রু তে পাপ ক্ষয় হয়, মানুষ পূণ্যবান হয়ে ওঠে। তাই কাঁদুন অজস্র বার কিন্তু তা সেই অধরা কে ধরবার জন্য,এই চর্ম চক্ষু তে অর্জুনের মতো করে তাকে একবার দেখবার জন্য তবেই কান্না সার্থক।হরে কৃষ্ণ। রাধে রাধে।