জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরাঃ- গুসকরা পুরসভা পরিচালিত এবং গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘যুব সংসদ ও সংসদ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা ২০২২-২৩’ চ্যাম্পিয়ন হলো গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়। ১৬ ই আগষ্ট পৌরস্তরের এই প্রতিযোগিতায় গুসকরা পুরসভার অন্তর্গত পাঁচটি বিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি বিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। লটারির মাধ্যমে তাদের ক্রম নির্ধারণ করা হয়। জানা যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন দল পরবর্তীতে জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
এর আগে গুসকরা পুরসভার বড়বাবু মধুসূদন পাল, গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী এবং গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সবিতা ঘোষ এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ‘গাছবন্ধু’ সোমনাথ বাবু একটি চারাগাছ কুশল বাবুর হাতে তুলে দেন। তিনি আবার সেটি প্রধান শিক্ষিকার হাতে তুলে দেন।
কুশল বাবু ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম সহ প্রায় প্রত্যেক কাউন্সিলার ও পুরসভার কয়েকজন কর্মী, গুসকরা বালিকা বিদ্যালয় সহ অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা সহ বেশ কয়েকজন আগ্রহী সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, গণতান্ত্রিক দেশে ছাত্র তথা যুবসমাজ হলো দেশের ভবিষ্যত- এই কনসেপ্টকে মাথায় রেখে দেশ, রাজনীতি ও সংসদীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে ছাত্র সমাজের সচেতনতা বাড়াতে ১৯৬২ সালে মুম্বাইয়ে আয়োজিত চতুর্থ সর্বভারতীয় হুইপ কনফারেন্সে বিদ্যালয় স্তরে মক পার্লামেণ্টের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৬৫-৬৬ সাল থেকে এই পার্লামেণ্ট শুরু হয়। প্রথমে মক পার্লামেণ্ট বলা হলেও ১৯৭২ সাল থেকে ‘যুব’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। যাইহোক তারপর থেকে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরের কোনো এক সময়ে পৌর ও ব্লক ভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। পুরোপুরি সংসদের স্টাইলে এই প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। শাসক ও বিরোধী শিবির থাকে। সাধারণত শাসকদলে সাত জন ও বিরোধী দলে পাঁচজন প্রতিনিধি থাকে।
প্রতিযোগিতাটিকে সফল ও অর্থবহ করে তোলার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। প্রতিটি জেলার ব্লক ও পৌর ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া দলগুলিকে নিয়ে জেলাস্তরের প্রতিযোগিতা হয় এবং সেখান থেকে নির্বাচিত দলটিকে রাজ্যস্তরে পাঠানো হয়। সরকারের আশা এভাবেই হয়তো ভবিষ্যতে এদের মধ্যে থেকে যোগ্য জনপ্রতিনিধি পাওয়া যাবে।