জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, পূর্ব বর্ধমানঃ- ব্যক্তি বা সমাজ জীবনে, এমনকি ক্রিকেট খেলাতেও, ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০ ইত্যাদি সংখ্যাগুলো একটা আলাদা তাৎপর্য বহন করে আনে। সেটা যদি আবার দেশের স্বাধীনতা দিবস হয় তাহলে তার গুরুত্ব আলাদা। পঁচাত্তর বছর অতিক্রম করে দেশ আজ অর্থাৎ ১৫ ই আগষ্ট ছিয়াত্তর তম স্বাধীনতা দিবসে পদার্পণ করল। স্বাভাবিক ভাবেই একটা আলাদা উদ্দীপনা তো ছিলই, তার উপর করোনার জন্য গত দু’বছর কার্যত সেভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করা সম্ভব হয়নি। এবছর করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে প্রথম সুযোগেই দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনতা দিবস পালনে মেতে ওঠে। ব্যতিক্রম ছিলনা পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
গত কয়েক দিনের মত আজও প্রকৃতির মুখ ছিল ভার। গুমোট গরমের জন্য মনের মধ্যে একটা আশঙ্কা তো ছিলই। একটানা বৃষ্টি অনুষ্ঠানের কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ তাতে কমেনি। উপস্থিতির সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হলেও আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত, কুইজ সব মিলিয়ে স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি জমজমাট হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজকুমার দাস রচিত ছোট্ট নাটক ‘স্বাধীনতা’। অভিনয়ের গুণে সেটি অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়। বিভিন্ন বক্তা আজকের দিনটির গুরুত্ব সবার সামনে তুলে ধরেন। তবে শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এর আগে, বৃষ্টি জনিত কারণে, সংক্ষিপ্ত প্রভাতফেরির পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে এবং বন্দেমাতরম ধ্বনির মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি গোপীনাথ পাল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্গাপ্রসন্ন গোস্বামী বললেন – আজকের দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে পালনের জন্য গত কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার জন্য সবার মন খারাপ ছিল। যাইহোক শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য সবাই খুব খুশি।