সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- শ্রাবণ সংক্রান্তিতে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় মা মনসার। গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে মনসা শুধু পুজোই নয়, লোক-উৎসবও বটে। সর্প দংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রজনন ও ঐশ্বর্য লাভের উদ্দেশ্যে দেবী মনসার পুজো করা হয়। কোথাও কোথাও মূর্তির পরিবর্তে দেবীর প্রতীক হিসেবে অনন্ত, বাসুকি, পদ্ম, মহাপদ্ম, তক্ষক, কুলীর, কর্কট, শঙ্খ-র পুজো হয়ে থাকে।
বাংলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ শ্রাবণ সংক্রান্তিতে মনসা পূজোয় মেতে ওঠে। বর্তমানে সর্বজনীনভাবে মনসা দেবীর মন্দিরে মনসা পূজা করা হলেও এখন বহু পরিবার ও সম্প্রদায় তাদের প্রচীন পুজো আজও করে চলেছে। সেরকমই এক প্রাচীন পুজো আসানসোল গ্রামের ঐতিহ্যবাহি আগুরিপাড়ার পুজো। এই বছর ২৬০ বছরে পদার্পণ করেছে এই পুজো। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এই পুজোয় সামিল হতে দূর দূরান্ত থেকে আসেন। আসানসোল গ্রামের মনসা মন্দিরের ধর্মদাস ধীবর জানান , করোনার জন্য গত দুইবছর ধুমধাম করে পুজো না হলেও এবছর ধুমধাম করে পুজো হচ্ছে। সপ্তমী অষ্টমী নবমী দশমী চারদিন ধরে চলবে পুজো। পুজোয় পাঠাবলির প্রচলন রয়েছে এখানে।
প্রসঙ্গত বর্ষায় বৃষ্টিতে ঝোপঝাড় সৃষ্টি হওয়ায়,বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কীটপতঙ্গের উপদ্রব দেখা যায়। বিশেষ করে সাপের উপদ্রব। আর এই সর্প দংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সর্প দেবী মনসা পুজো উৎসব হয়।