সূচনা গাঙ্গুলি,মেদিনীপুরঃ- কার্যত প্রথমবারের জন্য অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ পেল বাংলার সাহিত্য প্রেমী মানুষ। এতদিন যেকোনো সাহিত্য অনুষ্ঠানে কাব্য-সাহিত্য বা অন্য জগতের পরিচিত মুখদের মঞ্চে দ্যাখা যেত। কিন্তু এই প্রথম দ্যাখা গ্যালো শিশু কবিদের। সৌজন্যে ‘বিনোদন সাহিত্য পত্রিকা’ গোষ্ঠী।
১৮ ই সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর শহরে গুহরায় ভবনে ছিল বিনোদন সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীর শারদীয়া সংখ্যার চতুর্থ বর্ষ প্রকাশ অনুষ্ঠান। সভাঘরে উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কবি-সাহিত্যিক। উপস্থিত আছেন বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখের কবি সাহিত্যিক। এতদিন এটাই ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। কি চমক অপেক্ষা করছে অনেকেই সেটা টের পাননি। সবাই কে চমকে দিয়ে মঞ্চে উঠে এল শ্রীদাত্রী মিশ্র, অঙ্কিত বৈদ্য, সংলাপ খামরই, শ্রেয়া সাঁতরা প্রমুখ কয়েকজন শিশু। এদের প্রত্যেকের বয়স পনেরো বছরের নীচে। পরিচিত কবিদের সঙ্গে সঙ্গে এদের অনেকের লেখা এই বছরের শারদীয়া সংখ্যায় স্হান পেয়েছে। তখন এদের চারপাশে আছেন বরুণ চক্রবর্তী, নিলয় মিত্র, ভবেশ বসু, দেবাশিস দাশগুপ্ত, সুনীল মাজি, প্রদীপ আচার্য, শ্রী দিলীপ রায়, শঙ্খচূড় চক্রবর্তী প্রমুখ স্বনামধন্য কবি-সাহিত্যিকরা।
এই বছর বিনোদন সাহিত্য পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় তিনশো পঁচিশ জন কবি সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকের লেখা স্হান পেয়েছে। অনুষ্ঠানে পরিবার রত্ন সম্মাননা -১৪২৯ তুলে দেওয়া হয় নিলয় মিত্র, বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত নলিনী বেরা, শিক্ষক ও সমাজসেবী সুদীপ কুমার খাঁড়া ও সমাজসেবী গৌতম কুমার চন্দের হাতে।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বরুণ চক্রবর্তী। তাকে সহযোগিতা করেন অন্যান্য অতিথিরা। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রীমতি মুকুল চক্রবর্তী। উপস্থিত কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠ ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেক কবি-সাহিত্যিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় মেমেন্টো, সার্টিফিকেট ও শারদীয়া সংখ্যা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিনোদন সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক তথা কবি-সাহিত্যিক সুশান্ত ঘোষ।
কলকাতা শহর থেকে অনেক দূরে আয়োজিত হলেও যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি-সাহিত্যিকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তার জন্য সুশান্ত বাবু প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি বলেন – শারদীয় উৎসবের প্রাক্কালে সংখ্যাটি প্রকাশ করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। তার আশা আজকের শিশু কবিদের মঞ্চে দেখে অন্যান্যরা প্রেরণা পাবে এবং আগামী দিনে বাংলা অনেক কবি পাবে।