সন্তোষ মণ্ডল, আসানসোলঃ- রাজ্যে গরু পাচার নিয়ে ইডি সিবিআই-এর যৌথ তদন্ত অভিযান চলছে। এর মাঝেও অবাধে গরু পাচারের অভিযোগ উঠছে রাজ্যে। শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের একশ্রেণির অসাধু কর্মচারী আধিকারিকদের মদতেই এই পাচার চলছে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাতে একটি গোরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক করে আসানসোলের কুলটি থানা এলাকার বড়িরা গ্রামের বেশ কিছু যুবক ৷ যদিও পিকআপ ভ্যানের চালককে ধরতে পারেননি তারা। পিকআপ ভ্যান রেখে চম্পট দেয় সে। যদিও পরে চৌরাঙ্গি ফাঁড়ির পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই পিকআপ ভ্যানের চালক। চালকের দাবি গরুগুলি বালতোড়িয়া থেকে আসানসোলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ সেই সময় কিছু যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়িটি আটকে দেয়। এরপর ওই চালককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ রাতের অন্ধকারে বড়িরা গ্রামের ভেতর হয়ে জাতীয় সড়কের বাইপাস ধরে লাগাতর চলছে গরু পাচার।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি করে, অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকলেও তার গরু পাচার কারবার বন্ধ হয়নি। তার পরোক্ষ সহায়তায় চলছে গরু পাচার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে গরু পাচারারে সঙ্গে শাসক দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যযুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী বলেন,”গরু পাচার হচ্ছে এক শ্রেণির পুলিশ প্রশাসনের মদতেই ৷ যার জন্য তৃণমূল আজ বদনাম হচ্ছে ৷” কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের প্ৰাক্তন সভাপতি বাবন মুখার্জী বলেন, ” অসাধু পুলিশ কর্মীদের মদতে রাতের অন্ধকারে গরু পাচার হচ্ছে। এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগসাজশ নেই।” অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে চৌরাঙ্গি ফাঁড়ির পুলিশ।