নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া হাউসগুলো নিয়ে সংগঠিত বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশন পথ চলা শুরু করল তাদের শারদীয়া সংখ্যা “শারদ অর্ঘ্য” প্রকাশের মধ্য দিয়ে। সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের এক বেসরকারী পান্থশালায় এই শারদ সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এ.ডি. ডি.এ র ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী কবি দত্ত,দুর্গাপুরের মহকুমা তথ্য আধিকারিক নরেন্দ্র নাথ দত্ত সহ শহরের বিশিষ্টজনেরা। এদিন মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক চক্রবর্তী স্বাগত ভাষণ দেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিশিষ্ট অতিথিরা বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রথম শারদীয়া সংখ্যা “শারদ অর্ঘ্য” প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ঋতুকনা ভৌমিক। তাঁকে সঙ্গ দেন বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাস সহ অন্যান্য শিল্পীরা।
এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শহরের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, অর্জুন পুরষ্কারপ্রাপ্ত শ্যুটার তথা প্রাক্তন সেনাকর্মী ভাগীরথ সামুই ও দুর্গাপুরের প্রথম মহিলা ওলা চালক টুম্পা দেকে সংগঠনের তরফে বিশেষভাবে সম্বর্ধিত করা হয়।
প্রসঙ্গত বর্তমান ডিজিটাল সময়ে সারা পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। ডিজিটাল মিডিয়াতেই মানুষ এখন খুঁজে নিচ্ছে তার পছন্দমতো বিনোদন কিংবা সংবাদ। তাই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমও নিজেদের হাতিয়াড় হিসেবে ব্যবহার করছে ডিজিটাল মিডিয়াকে। কিন্তু রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডিজিটাল মিডিয়াগুলি সংগঠিত হওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিল। সেই প্রত্যাশাই অবশেষে রূপ নেয় বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশনে। যার চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ২০১৮ সালে আর ২০২০ সালে গড়ে ওঠে ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশন। কিন্তু সেই সময় করোনা অতিমারীর থাবা থমকে দেয় মানব জাতির গতিকে। যার জেরে থমকে যায় এই সংগঠনের কাজ। অবশেষে এবছর করোনার প্রভাব অনেকটাই কম থাকায় দুর্গাপুর থেকে আত্মপ্রকাশ করল বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার এই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি মনোজ সিংহ। সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে অথিতি আপ্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনের দুই সদস্য গণেশ চক্রবর্তী ও মুনমুন দত্ত। বিশিষ্টজনেদের উপস্থিতি এদিনের অনুষ্ঠানটিকে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়।