সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- আজ ৩রা অক্টোবর ২০২২, দুর্গাষ্টমী। এই অষ্টমী তিথির অন্যতম একটি রীতি হলো কুমারী পুজো। সনাতন ধর্মে বলা হয় যে দেবী দুর্গারই এক রূপ হলেন কুমারী। কুমারী রূপে দেবী কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তাই কুমারী পুজো করা হয় অষ্টমীর তিথিতে। শাস্ত্রে কুমারী পুজোর ক্ষেত্রে ১-১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীর পুজো করার বিধান রয়েছে। তবে সাধারণত যেটা চোখে পড়ে তা হলো বয়ঃসন্ধিকালে না পৌঁছানো কিশোরী মেয়েদেরকেই কুমারী রূপে পুজো করা হয়। এইক্ষেত্রে ১-১৬ বছরের মেয়েদের নানা নামে ডাকা হয় যেমন –
১ বছরের মেয়েদের সন্ধ্যা
৭ বছরের মেয়েদের মালিনী
১২ বছরের মেয়েদের ভৈরবী
১৬ বছরের মেয়েদের অম্বিকা বলা হয়।
কুমারী পুজো শাস্ত্রে বিধান রয়েছে দেবী কুমারীর জন্যে কিন্তু এছাড়া কুমারীর পুজোর পিছনে অন্য একটি তত্ত্ব রয়েছে। সেই তত্ত্বটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুমারী পুজোর দার্শনিক তত্ত্ব হলো নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। নারীকে দেবী জ্ঞানে সম্মান জানানোর কারণেই দুর্গা অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো করা হয়। তাই কুমারী পুজোর সার্থকতা তখনই হবে যখন ঘরে ঘরে মেয়েদের সম্মান করা হবে, যখন মেয়েদের আর কোথাও কোনোখানে লাঞ্ছিত হতে হবে না বা নারী অধিকার নিয়েও লড়তে হবে না। বাড়ির ছেলে মাত্রই সে রাজা হয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকবে, ঘরের কোনো কাজ করবে না,শিখবে না আর বাড়ির মেয়ে হলেই তাকেই সব কাজ শিখতে হবে- এই ধারণার পরিবর্তন যেদিন হবে সেইদিন ঘরে ঘরে প্রকৃত অর্থে কুমারী পুজো হবে।