সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- ১৯০১ সালে বেলুর মঠে প্রথম দুর্গাপুজোর সময় দুর্গাষ্টমীর দিন কুমারী পুজো করেছিলেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ। সেই থেকেই মেলুর মঠে কুমারী পুজোর রীতি চলে আসছে। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন মৃন্ময়ী মাকে পুজো করা যায় আর চিন্ময়ী মাকে পুজো করা যায় না ! ঠাকুরের সেই ভারধারা গ্রহণ করেই বেলুর মঠে কুমারী মেয়েকে মা দুর্গা রূপে পুজোর রীতি চলে আসছে। এছাড়া ভারত ভ্রমণের সময় ১৮৯৮ সালে কাশ্মীরে এক মুসলিম বালিকাকে কুমারী রূপে পুজো করেছিলেন স্বামীজী।
শ্রী শ্রী সারদা মায়ের জন্মস্থান বাঁকুড়ার পূণ্যভূমি জয়রামবাটিতে ১৯২৫ সালে সালে ঘট পেতে দুর্গা পুজা শুরু হয়। এখানেও মঠের রীতি মেনে শুরু হয় কুমারী পুজো। এবারও প্রাচীন ঐতিহ্য আর পরম্পরা রক্ষায় তিথি মেনে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হলো মাতৃমন্দিরে। সোমবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে অষ্টমীর পুজো শুরু হয়। এরপর ঠিক সকাল ৯ টায় শুরু হয় কুমারী পুজো। এবার জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে কুমারী রুপে পূজিতা হলেন ৫ বছরের কুমারী শুভাঙ্কী মুখার্জী। প্রসঙ্গত, শুভাঙ্কী মুখার্জী শ্রীশ্রী মায়ের পিতৃবংশের সদস্যা। প্রথানুযায়ী প্রতি বছরের মতো এবছরও জয়রামবাটির সারদা মায়ের পুরাণো বাড়ি থেকে সিংহাসনে বসিয়ে বাদ্য যন্ত্র সহযোগে শোভাযাত্রা সহকারে মঠের সন্যাসীরা কুমারীকে নিয়ে মাতৃ মন্দিরের মণ্ডপের আসনে বসান। সেখানেই বৈদিক মন্ত্রোচারণের মধ্য দিয়ে চলে কুমারী পুজা।
জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে ফি বছর পুজোর চার দিন অসংখ্য মানুষ হাজির হন। কুমারী পূজা উপলক্ষ্যে অষ্টমীর সকালে সেই সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।