জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় দু’বছর পর নিষেধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে দুর্গাপুজো হচ্ছে। বৃষ্টির ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়ছে ভিড়। ঠাকুর দর্শন করতে এসে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে তার পরিবারের সদস্যরা সমস্যায় না পড়ে তার জন্য সচেতন আছে গুসকরা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ।
পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জীর পরামর্শে চালু করা হলো ভ্রাম্যমান প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা। দলে থাকবে দু’জন স্বাস্থ্য কর্মী, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত এস.আই চন্দন যশ, পুরসভার কর্মী সত্য পান এবং কাউন্সিলার সুব্রত শ্যাম। জানা যাচ্ছে দশমী পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে। প্রতিদিন চারটি করে ওয়ার্ড তারা পরিদর্শন করবে। রক্তচাপ মাপা সহ কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা তারা দেবে। শুধু তাই নয় ডেঙ্গু যাতে পুর এলাকায় ছড়িয়ে না পড়তে পারে তার জন্য ঠাকুর দেখতে আসা মানুষদের তারা সচেতনও করবে।
পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চন্দন যশ বললেন – দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। প্রতিটি প্যাণ্ডেলে বহু দর্শনার্থীর ভিড় হবেই। মূলত যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন ভিড়ের চাপে তাদের যাতে সমস্যা নাহয় তার জন্যই এই উদ্যোগ। তাছাড়া আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রয়োজনে ছোটখাটো প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেবে। এছাড়া ডেঙ্গু যাতে কোনো ভাবেই পুর এলাকায় মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য প্রতিমা দর্শন করতে আসা মানুষদের আমরা সচেতন করব। তিনি আরও বলেন – পুর এলাকার পুজো মণ্ডপগুলি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতাও হবে। তাতে আমরা সেরাদের পুরস্কৃত করব এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের হাতে শংসা পত্র তুলে দেব।
পুজোর সময় নিজেদের দায়িত্ব সচেতনতার পরিচয় দেওয়ার জন্য পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন খুব ভাল উদ্যোগ। আশাকরি প্রত্যেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। সবাই যাতে সুস্থভাবে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারে তারজন্য মা দুর্গার কাছে তিনি প্রার্থনা করেন।