জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,সিকিমঃ- একে কি বলা যাবে – রথ দেখা ও কলা বেচা? এলেন বেড়ানোর জন্য, সেই সুযোগে নিজেদের পত্রিকা প্রকাশ করে ফেললেন। গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে তিল তিল করে ‘ভাষাসরিৎ’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠী বাংলা সাহিত্য জগতে নিজেদের যে আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন আজও তারা সেটা বজায় রেখেছেন। বরাবর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকা। সেখানে সাহিত্য জগতের সুপরিচিত মুখের পরিবর্তে নিজ গোষ্ঠীর কবিদের মধ্যে থেকে কেউ হয়েছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি। সাহিত্য জগতে সম্ভবত এই প্রথম কোনো পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ অভিনব ঘটনার কথা জানার সুযোগ পেলেন রাজ্যের অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক ও সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। সৌজন্যে ‘ভাষাসরিৎ’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠী।
পুজোর ছুটিতে সপরিবারে সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন পত্রিকা গোষ্ঠীর সভাপতি পেশায় শিক্ষিকা সুনীতা হাজরা ও সম্পাদক পেশায় শিক্ষক নদেরচাঁদ হাজরা। সঙ্গে ছিল তাদের একমাত্র কন্যা পেশায় ডাক্তার তপব্রতা হাজরা এই পত্রিকার প্রচ্ছদ ভাবনা যার। মূলত কন্যার পরামর্শে গত ১ লা অক্টোবর সিকিমের জিরো পয়েন্টে স্হানীয় ও পর্যটক কবি-সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হয় ‘ভাষাসরিৎ’ সাহিত্য পত্রিকার পঁয়ত্রিশতম বছরের তৃতীয় সংখ্যা যেটি একানব্বই জন কবির সৃষ্টিতে ভরপুর।
নদেরচাঁদ বাবু বললেন – এতদিন মধ্যমগ্রামে নিজেদের পরিচিত পরিবেশে পত্রিকা প্রকাশ করেছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবিরা তাদের সৃষ্ট কবিতা পাঠালেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দিতে পারিনি। তাই এবার সেই সুযোগ পাওয়ার জন্য কন্যার প্রস্তাবে সঙ্গে সঙ্গে রাজী হয়ে যাই। সত্যিই এএক আলাদা অনুভূতি। তবে তার আক্ষেপ দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য তিনি তার পত্রিকা গোষ্ঠীর সদস্যদের অনলাইন উপস্থিতিতে পত্রিকাটি প্রকাশ করতে পারেননি।