সংবাদদাতা,বাঁকুড়া– চালিডিহি বাড়ি। বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট সুনশান গ্রাম। সুনশান না বলে বরং পরিত্যক্ত বলাই ভালো। কারণ ভূতের ভয়ে গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই চলে গেছে পাশের গ্রামে। গ্রামে এখন পড়ে রয়েছে মাত্র চারটি পরিবার। পরিত্যক্ত বাড়িঘর এখন ঘিরে ফেলেছে আগাছা, লতা পাতায়। গ্রামের অধিকাংশই এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এই গ্রাম যেন সত্যিই ভূতুরে গ্রাম।
কিন্তু কি এমন ঘটল, যে বাড়ি ঘরদোর ছেড়ে পালাল গ্রামের মানুষ! স্থানীয়দের মুখে শোনা গেলো সেই রাতের কাহিনী, যা বদলে দিয়েছে পুরো গ্রামের রূপ। এক সময়ের মানুষের কোহাহলে ভরে থাকা গ্রামে এখন শুধুই ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক। বছর ছয় আগে খুন হয়ে যায় গ্রামের এক তরতাজা যুবক। গ্রামের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় যুকের রক্তাক্ত দেহ। ওই ঘটনার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে গ্রামের রাত গুলো। গ্রামবাসীদের দাবি সন্ধ্যের পর বাইরে বেরোলেই ওই যুবককে হাঁটাচলা করতে দেখতে পেতেন অনেকেই। ভূতের আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করে যে গ্রামের মানুষ একের পর এক গ্রাম ছাড়তে শুরু করে। নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাশের গ্রামে। জনশূন্য হয়ে পড়ে প্রায় পুরো গ্রাম।
পরে প্রশাসন ও যুক্তিবাদী সমিতির উদ্যোগে দুই একটি পরিবার গ্রামের ফিরে এলেও বেশিরভাগ পরিবারই ফিরে আসেনি চালিডিহি বাড়ি গ্রামে। আজ পুরো গ্রাম জুড়ে শুধু ধ্বংসস্তূপ আর জঙ্গলে ভরা। যে কজন মানুষ বসবাস করছেন গ্রামে তাদের চোখে মুখে আজও ধরা পড়ে আতঙ্কের স্পষ্ট ছাপ ।