সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- আসানসোল জেলা হাসপাতালের জানলা ভেঙে পালিয়ে গেল চিকিৎসারত বিচারাধীন বন্দি। সোমবার রাতে ওই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। নিখোঁজ বন্দির খোঁজে রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। বেশ কিছু এলাকায় নাকাবন্দি করে তল্লাশিও চলছে। যদিও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ বন্দির কোনও খোঁজ মেলেনি। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি আসানসোল জেলা পুলিশ।
জানা গেছে নিখোঁজ বন্দির নাম মন্দিল ভীমলোর(গোপি)। তার বাড়ি আসানসোলের সালানপুরে। পুরুলিয়া ও আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় চুরির দায়ে অভিযুক্ত মন্দিলের বিরুদ্ধে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। সেই সব মামলাতেই তাকে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি সে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভবত চলতি মাসের ২৫ তারিখ তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলা হাসপাতালের পুরোনো মেল ওয়ার্ডে আইসোলেশন কেবিনে রেখে চিকিৎসা চলছিল তার। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওই বন্দির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সকলের নজরে আসে। জানা গেছে আইসোলেশন কেবিনের জানলা ভেঙে পালিয়ে যায় ওই বন্দি। বন্দি নিখোঁজের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের বড় কর্তারা। পৌঁছন ডিসি আনন্দ রায়, এসিপি দেবরাজ দাস, আসানসোল দক্ষিণ থানার ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গেছে অভিযুক্তের খোঁজে পার্শ্ববর্তী সমস্ত থানাকে এলার্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত নাকা চেকিং গুলিকেও এলার্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের জানলা ভেঙে কীভাবে ওই বন্দি পালালো তারও তদন্ত শুরু করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ওই বন্দির কেবিনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও ভিতরে কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না। এদিকে বন্দি নিখোঁজ ঘটনায় বন্দিদের উপর নজরদারি নিয়ে আসানসোল পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠে গেল।