সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- একই মঞ্চ থেকে সিপিএমকে রুটি সেঁকা ও চাবকে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার নিদান তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের। বুধবার বিকালে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ময়নাপুরে দলীয় একটি সভা থেকে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের এই ভাষাতেই বেলাগাম মন্তব্য করতে শোনা গেল। আর প্রকাশ্যে দলীয় কর্মীদের এই নিদান দেওয়া ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এদিন জয়পুর ব্লকের ময়নাপুর এলাকার হিজলডিহা গ্রামে বিজেপি ও হার্মাদ সিপিএম এর কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভা ডাকে তৃণমূল। এই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল বলেন, “ছাগলের তৃতীয় সন্তান সিপিএম। তাদের বড্ড বাড় বেড়েছে। সেই সিপিএম কে রুটি সেঁকা সেঁকতে আমি এসেছি। সিপিএম এখন স্বপন দেখছে। ভাবছে বন্ধু বিজেপির সাথে আঁতাত করে তৃণমূলকে সরাবে। আমরা আছি তো ধান ঝাড়াই মেশিনে করে আপনাদের সেঁকে দেওয়ার জন্য।” একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরো আক্রমনাত্মক বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিষ্ণুপূর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সোমনাথ মুখার্জী। তিনি বলেন, “তৃণমূল হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। ময়নাপুর অঞ্চলে কোনো সিপিএম নেতা মমতা ব্যানার্জীর সমস্ত প্রকল্প নেওয়ার পর যদি তৃণমূলের বিরোধীতা করে তাহলে চাবকে হাত পা ভেঙ্গে দিন। পুরো দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি।”
সভা শেষে শাসকদলের নেতা নেত্রীদের কাছে বিতর্কিত ওই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুজাতা মণ্ডল বলেন, “কেউ দাদাগিরি , নাটক করতে এলে সময় বুঝে সেঁকতে হবে বৈকি।” সোমনাথ মুখার্জী বলেন, “২০১১ র পর তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চুপচাপ ছিল। এখন সিপিএম আবার বাইরে থেকে লোক এনে অশান্তি করার চেষ্টা করছে। যারা অশান্তি করার চেষ্টা করবে তাদের আমরা চাবকেই সোজা করব।”
অন্যদিকে বিতর্কিত ওই মন্তব্য নিয়ে সিপিএম এর জয়পুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক মানিক রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রুটি সেঁকার মানে কী আমরা জানিনা। আমরা সুজাতা মণ্ডলের কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে সোমনাথ মুখার্জীর ওই বক্তব্যের পর এলাকায় সমস্যা তৈরি হলে তার দায় তাঁকে ও তাঁর দলকে নিতে হবে।”